ঢাকা   শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১   বিকাল ৪:২২ 

Home Blog Page 172

সাংবাদিক আরিফুলের সাজা স্থগিত, সাবেক ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

0

কুড়িগ্রামে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে দেয়া সাজা, ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মোহাম্মদ রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়। একই সঙ্গে কুড়িগ্রামের সদ্য সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন,আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারি কমিশনার রিন্টু চাকমা ও রাহাতুল ইসলামসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরিফুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য।
আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের জানান,আদালত একই সঙ্গে টাক্সফোর্সের নামে আরিফুল ইসলামকে সাজা দেয়া ও আটক করা কেনো বেআইনী ও অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
কুড়িগ্রামের ডিসির দায়িত্বপালনকালে সুলতানা পারভীন সরকারি খরচে একটা পুকুর খনন ও সংস্কার করে নিজের নামে সুলতানা সরোবর নামকরণ করেন। এ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ১০ মাস আগে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়োগ ও বিভিন্ন অনিয়ম নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করেন আরিফুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গত ১৩ মার্চ গভীর রাতে আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারি কমশিনার রিন্টু চাকমা ও রাহাতুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের পাইক পেয়াদা নিয়ে গভীর রাতে হানা দেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাড়িতে। তারা বাড়ির দড়জা ভেঙ্গে স্ত্রী সন্তানের সামনে আরিফুলকে নিয়ে আসেন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে,মাদক রাখার অভিযোগে আরিফুলকে এক বছরের কারাদÐ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলে পাঠান। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরদনিই জামিন দেয়া হয় আরিফুলকে।
গভীর রাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ধরে এনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জে করে জনস্বার্থে রিট করেন বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হারুন অর রশীদ।এই রিটের শুনানি শেষে সোমবার রুল ও স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
এ ঘটনায় সরকার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডিসি সুলতানা পারভীন এবং সহকারি কমিশনার নাজিম উদ্দিন, রিন্টু চাকমা ও রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়।

নিম্ন আদালতে জরুরি বিষয় চলবে

0

করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জনসমাগম কমাতে নিম্ন আদালতে জামিন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও জরুরি বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয় যৌক্তিক সময়ের জন্য মুলতবি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। রোববার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে অধিকসংখ্যক জনসমাগম পরিহার করা দরকার। এ উদ্দেশ্যে অধস্তন আদালতসমূহে জামিন,অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও জরুরি বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয় যৌক্তিক সময়ের জন্য মুলতবি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে প্রধানবিচারপতির খাস কামরায় পৃথকভাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসজনিত কারণে কেবল জরুরি বিষয় ছাড়া বিচারাধীন মামলাসমূহ মুলতবি রাখার কথা জানানো হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিচারাধীন মামলাগুলোর পরবর্তী ধার্য তারিখ,প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে কোনো মামলার জামিনে থাকা আসামিকে তার নিযুক্ত কৌঁসুলির মাধ্যমে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

তিন শিক্ষকের কারাদণ্ড

0

সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে মানিকগঞ্জে কোচিং সেন্টারে পড়ানোর দায়ে তিন শিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এদের মধ্যে একজন স্কুল শিক্ষক এবং অপর দুজনের মধ্যে একজন ইমাম ও অপরজন মুয়াজ্জিন। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকালে সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে কোচিং-এ পড়াচ্ছিলেন সিঙ্গাইরের জামির্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক আলমগীর হোসেনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে সন্তানদের পড়তে পাঠানোর দায়ে দুজন অভিভাবককে অর্থদণ্ড করা হয়।

এদিকে মধুরচর জামে মসজিদে শিশুদের পড়ানোর দায়ে ইমাম আশেক এলাহী এবং মুয়াজ্জিন আব্দুল লতিফকে সাতদিন করে কারাদণ্ডাাাদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রুনা লায়লা।  উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস মোকাবিলা ও বিস্তার ঠেকাতে সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।এ সময়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চালালে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

 

আদালতের কার্যক্রম সীমিত করার অনুরোধ

0

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে জনসমাগম এড়াতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম সীমিত রাখতে প্রধানবিচারপতির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ আইন সমিতি। শনিবার সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কেশব রায় চৌধুরী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহবান জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন ও রিমান্ড শুনানির মতো অপরিহার্য বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে চলমান রেখে অন্য কার্যক্রমগুলো মুলতবি করার নির্দেশনা দিলে মানুষ উপকৃত হবে। এ বিষয়ে প্রধানবিচারপতির দৃষ্টি কামনা করেন তারা।

ঢাকার বায়ুদূষণের একগাদা কারণ

0

রাজধানীর বায়ুদূষণের একগাদা কারণের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ। হাইকোর্টে দেয়া এক প্রতিবেদনে তিনি জানান,২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকার বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে লিখিত প্রতিবেদনে তিনি জানান,ইটভাটা,রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি,যানবাহন,অবকাঠামো উন্নয়ন ও নির্মাণকাজ,বর্জ্য পোড়ানো বায়ুদূষণেরর অন্যতম উৎস।

বায়ুদূষণ রোধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে আদালতের তলবে রোববার হাজির হয়ে এসব তথ্য জানান মহাপরিচালক।

প্রতিবেদনে বলা হয় যানবাহন ও নির্মাণকাজ বর্তমান সময়ে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া রাজধানীর চারপাশে ইটভাটা,অনেক জায়গায় বর্জ্য পোড়ানোর ফলে দূষিত হচ্ছে বায়ু।

শুনানিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবল এবং অভিযান পরিচালনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্বল্পতার কথা তুলে ধরা হয়। জানানো হয় অধিদপ্তরের জনবল কাঠামোতে ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা কিন্তু আছেন মাত্র ৩ জন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানানো হলেও তা কার্যকর হয় নি।

আদালত পরিবেশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনার জন্য ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিতে জনপ্রশাসন সচিবকে নির্দেশ দেন। একমাসের মধ্যে এই পদায়ন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

চলে গেলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী

0

চলে গেলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সুপ্রিমকোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন মাহমুদুল আমিন চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর । তিনি এক ছেলে , মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিন বাদ এশা সিলেট হজরত শাহজালাল (রা.)-এর মাজারে তাকে দাফন করা হবে।

বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী বাংলাদেশের ১১তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০১ সালের ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ও ২০০২ সালের ১৭ জুন অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৩৭ সালের ১৮ জুন সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার রনকেলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেয়া মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ১৯৯৯ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন থামাওঃ আইসিজে

0

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরর ওপর সহিংসতা ও বৈষম্য অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে শান্তি প্রাসাদে ২৩ জানুয়ারী সকালে আদালতের আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে এই রায় ঘোষণা করেন।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘ কয়েকদশক ধরে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমার সরকার।

২০১৭ সালে সেনা অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হয়। অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ বাস্তুভিটা ত্যাগ করে বাংলাদেশে চলে আসে।

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা চেয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজিতে এই মামলা করে।

টানা কয়েকদিন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রেখে ২৩ জানুয়ারী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে সর্বসম্মতিক্রমে মিয়ানমারের প্রতি চারদফা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলা মিয়ানমারের জন্য বাধ্যতামূলক।

অন্তর্বর্তীকালীন ৪ দফা নির্দেশনা হচ্ছে :

১.গণহত্যার সনদ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের হত্যাসহ সবধরণের নিপীড়ন থেকে নিবৃত্ত থাকতে হবে মিয়ানমারকে।

২.সেনাবাহনী বা অন্য কেউ যাতে গণহত্যা সংগঠন, ষড়যন্ত্র বা উসকানি দিতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

৩.গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সাক্ষ্যপ্রমাণ রক্ষা করতে হবে।

৪.রায় অনুযায়ী মিয়ানমার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তা চারমাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।

বিশ্বে আইনের শাসন ও মানবতার মর্যাদা রক্ষায় এক ঐতিহাসিক রায় দিল আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।

সালমান শাহ’র অপমৃত্যু মামলার প্রতিবেদন ২ ফেব্রুয়ারি

0

চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র অপমৃত্যু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তার এই মামলার পুনঃতদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঠিক ছিল। তবে তিনি এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চলচ্চিত্র নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। ওই সময় অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ওই প্রতিবেদন গৃহীত হয়। কিন্তু সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। প্রায় ১৫ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।

এরপর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন।

২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহ’র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

মামলাটিতে ‌র‌্যাবকে তদন্ত ভার দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ-৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‌্যাব মামলাটি আর তদন্ত করতে পারবে না বলে আদেশ দেন।

পথশিশুদের পুনর্বাসনে কি ব্যবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

0

সারাদেশে পথশিশুদের পুনর্বাসনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এবিষয়ে ৪০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় গত ১৬ ডিসেম্বর ১০ বছর বয়সী পথশিশু সেলিমের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে(ওসি) মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পথশিশু সেলিমের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে সারাদেশে পথশিশুদের পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আগুনে দগ্ধ সেলিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তার শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। সেলিম নিজের নাম ছাড়া অন্য পরিচয় বলতে পারেনি। বাবা-মার নাম বা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে না। সে কমলাপুর রেল স্টেশন এলাকায় থাকতো। শিশুটি জানায়, একজন রিকসা চালক ম্যাচের কাঠি দিয়ে তার আগে আগুন দিয়েছে।

ব্যারিস্টার সুমনকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

0
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ব্যারিস্টার সুমনকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। ভবিষ্যতে ফেসবুকে বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো পোস্ট না দিতে বলা হয়েছে তাকে।

সূত্র জানায়, বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে ব্যারিস্টার সুমনকে সতর্ক করেন। একজন বিচারপতির ছেলের বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানিকালে তাকে সতর্ক করেন আদালত।

বুধবার শুনানির এক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম আদালতকে বলেন, ব্যারিস্টার সুমন ফেসবুকে ক্যাম্পেইন করে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবীদের হেয় করছেন। একজন আইনজীবী অপর একজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে এভাবে প্রচারণা চালাতে পারে না।

এসময় আদালত বলেন, ফেসবুকে এসব দিবে কেন? আর এরকম করবেন না।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাকে সতর্ক করে আদালত কোনো আদেশ দেননি। শুনানিকালে আদালত বলেছেন বিচার বিভাগ বা একজন সিনিয়র আইনজীবী নিয়ে এভাবে পোস্ট দেওয়া ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে এটা করবেন না।’