আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরর ওপর সহিংসতা ও বৈষম্য অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে শান্তি প্রাসাদে ২৩ জানুয়ারী সকালে আদালতের আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ আনুষ্ঠানিকভাবে এই রায় ঘোষণা করেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘ কয়েকদশক ধরে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমার সরকার।
২০১৭ সালে সেনা অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হয়। অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ বাস্তুভিটা ত্যাগ করে বাংলাদেশে চলে আসে।
আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা চেয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজিতে এই মামলা করে।
টানা কয়েকদিন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রেখে ২৩ জানুয়ারী রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে সর্বসম্মতিক্রমে মিয়ানমারের প্রতি চারদফা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলা মিয়ানমারের জন্য বাধ্যতামূলক।
অন্তর্বর্তীকালীন ৪ দফা নির্দেশনা হচ্ছে :
১.গণহত্যার সনদ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের হত্যাসহ সবধরণের নিপীড়ন থেকে নিবৃত্ত থাকতে হবে মিয়ানমারকে।
২.সেনাবাহনী বা অন্য কেউ যাতে গণহত্যা সংগঠন, ষড়যন্ত্র বা উসকানি দিতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৩.গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সাক্ষ্যপ্রমাণ রক্ষা করতে হবে।
৪.রায় অনুযায়ী মিয়ানমার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তা চারমাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।
বিশ্বে আইনের শাসন ও মানবতার মর্যাদা রক্ষায় এক ঐতিহাসিক রায় দিল আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।