বার্মার রোহিঙ্গাদের ভাসানচর বা অন্য কোথাও নয়, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। একটা জনগোষ্ঠীকে নিজভূমি থেকে মেরেকেটে তাড়িয়ে দেবে তা মেনে নেবে কেনো দুনিয়া? বার্মা এমন কোনো শক্তি যে কারো কথা শুনবে না? বার্মাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে কারা? এই রোহিঙ্গারা নিরাশ্রয় থেকে বাংলাদেশের জন্য কি বিপজ্জনক হবে তা সর্বোচ্চ ১০ বছরের মধ্যেই টের পাওয়া যাবে। এখন ১০ বছরের রোহিঙ্গা শিশু ২০ বছরের যুবক হউক, সে বসে থাকবে? শুধু ইয়াবা আর গাঁজার ব্যবসা নিয়ে বসে থাকবে? এই অঞ্চল পাকিস্তান- আফগানিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তের মতো অ-নিরাপদ জোন হবে। যেখানে প্রকাশ্যে তৈরী ও বিক্রি হয় অস্ত্র মাদক। যা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর নিরাপদ স্থান। নিরাপত্তা বাহিনীও যেখানে অভিযান চালাতে সাহস পায় না।
আমরা মনে করি বড় কোনো শক্তি বার্মার ওপর ভর করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে খেলছে। দেশের মৌলবাদি ও সন্ত্রাসী শক্তিও এদের সমর্থন দিচ্ছে। এ খেলা বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হবে। রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে সেখানে কারা, কী বানাচ্ছে তা পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হবে বার্মার বর্বরতাকে কারা সমর্থন দিচ্ছে।
আজ তিন বছর হয়ে গেলো একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো গেলোনা। এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা আসছে। তাদের মাধ্যমে ইয়াবাসহ মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে পুরো দেশ।
আমরা মনে করি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই। ভাসানচরে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতি। জনসংখ্যার ভারে বাংলাদেশ নিজেই আক্রান্ত। তার ওপর ১৫ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করা কঠিন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।