ঢাকা   শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১   রাত ১:০২ 

Home Blog Page 174

আইনজীবীদের কেন দায়মুক্তি নয় জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত

0

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডারস অ্যান্ড রুলস ১৯৭২ অনুযায়ী আইনজীবীদের সুরক্ষার বিধান সংযোজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডার অ্যান্ড রুলস ১৯৭২-এ আইনজীবীদের সুরক্ষার বিধান সংযোজন করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ছয় জন বিবাদীকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর আগে ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিনের পক্ষে ব্যারিস্টার খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হক রিটটি দায়ের করেন।

আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও মন্ত্রণালয়ের আইন প্রণয়ন বিষয়ক সংক্রান্ত সচিব, জাতীয় সংসদের সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী করা হয়।

আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট রুলস (হাইকোর্ট বিভাগ) ১৯৭৩-এর বিধি-৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মামলার সত্যায়িত অনুলিপি যুক্ত করে আদালতে যেকোনও ব্যক্তি হলফ সম্পাদনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করতে পারেন। এ সুযোগে দালালচক্র ও জালিয়াতচক্র অনেক সময় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সুবিধামতো মামলার কাগজ তৈরি করে যেকোনও একজন তদবিরকারীকে দিয়ে কাগজগুলো আইনজীবীদের কাছে পাঠান।

আর আইনজীবী এসব কাগজ সংযুক্ত করে সরল বিশ্বাসে অনেক ক্ষেত্রে নামেমাত্র ফি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এসব কাগজ জাল বলে আদালতে প্রমাণিত হলে তখন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। যদিও এসব তৈরি করা কাগজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অবগত থাকেন না বা দেখেও কাগজের সত্যতা প্রতীয়মান করা সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় না।

এসব ঘটনায় মামলা হলে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সন্দেহের তীর থাকে তদবিরকারক ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের দিকে। অনেক আইনজীবীকে মিথ্যা মামলার জালে পড়ে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডার অ্যান্ড রুলস ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ১৭ ও ১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কমিটি, বার কাউন্সিলের নিযুক্তীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়মুক্তির বিধান থাকলেও আইনজীবীদের মামলা সংক্রান্ত সরল বিশ্বাসে করা কোনও কাজের জন্য দায়মুক্তির বিধান নেই, যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এসব কারণে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অ্যান্ড লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার অর্ডার অ্যান্ড রুলস ১৯৭২-এ আইনজীবীদের দায়মুক্তির বিধান সংযোজিত হলে আইনজীবীরা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন বলে মনে করেন রিটকারী আইনজীবী।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টে তলব

0

শিল্পবর্জ্য দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী দূষণ করার বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিজি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে (এনফোর্সমেন্ট) আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দুজনকেই আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামপুর এলাকায় শিল্পবর্জ্য বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।

মনজিল মোরসেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্বেও পরিবেশ দুষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযথ কোনো ব্যবস্থ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

আদালতের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে,

১। নদীর পানি যেন দুষিত না হয় সে বিষয়ে পুলিশ দিয়ে নজরদারি করতে শ্যামপুর ও ডেমরা থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২। শিল্পবর্জ্যের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন।

৩। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শ্যামপুর এলাকায় নদীতে শিল্পবর্জ্য ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।

৪। ওই এলাকায় প্রতিমাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার দুই সিটির ভোট সরস্বতীপূজার দিনই, রিট খারিজ

0

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারিই হচ্ছে। একই দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা হওয়ায় ভোট পেছানোর জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন এক আইনজীবী। হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এর উপর শুনানি করে তা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়া হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়েছিল ভোটের কেন্দ্র হয় স্কুল কলেজে আর সরস্বতীপূজাও হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ভোটের কারণে পূজায় বিঘ্ন ঘটবে যা সংবিধান বিরোধী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধীতা করে বলেন, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সরস্বতীপূজার ছুটি ২৯ জানুয়ারি। সেটা দেখেই নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঠিক করেছে।

সেই আইনজীবীর গেজেট হাইকোর্টে স্থগিত

0
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ব্যারিস্টার সুমনকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

মোহাম্মদ জুম্মান সিদ্দিকী নামের একজনকে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই গেজেট কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

দুই আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মোহাম্মদ জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে হাইকোর্টের পৃথক চারটি বেঞ্চ গত ২১ ও ২৮ নভেম্বর এবং ১১ ও ১৫ ডিসেম্বর রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি তারিক উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনতে সম্মতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে বুধবার আদেশ দেন আদালত।

পরে অনীক আর হক বলেন, আদালত রুল জারি করে ওই গেজেটের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

ইশরাত হাসান বলেন, রুলে ওই গেজেট কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বার কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের আজকের আদেশের ফলে তিনি আর আপাতত হাইকোর্টে ওকালতি করতে পারবেন না।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জুম্মান সিদ্দিকী হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির ছেলে। আইনে ডিগ্রিধারী জুম্মান সিদ্দিকী নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টের প্র্যাকটিশনার।

বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনা করতে হলে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট (আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত) পরীক্ষায় (এমসিকিউ-লিখিত-মৌখিক) উত্তীর্ণ হতে হয়।

কিন্তু কাউন্সিলের (বার কাউন্সিল অর্ডার অ্যান্ড রুলস ১৯৭২) অনুসারে বিদেশি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন এমন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের হাইকোর্টে সরাসরি আইনজীবী হিসেবে সরকারের দেওয়া গেজেটে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। আইনের এই সুযোগ নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বার কাউন্সিল। এ অনুমতির গেজেট (বেসরকারি ব্যাক্তি এবং করপোরেশ কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে জারিকৃত বিজ্ঞাপন ও নোটিশ সমূহ) ৩১ অক্টোবর জারি করা হয়।

এই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তিতে বার কাউন্সিলের বিধানও চ্যালেঞ্জ করেছেন।

পর্যাপ্ততা সত্ত্বেও মাংস আমদানির সিদ্ধান্ত কেন: হাইকোর্ট

0

দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও গবাদিপশুর মাংস আমদানির সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। গত সপ্তাহে মো. মোছাব্বির হোসেন নামে একজন এই রিট করেন।

পরে আইনজীবী নাজমুল হুদা জানান, দেশে পর্যাপ্ত ও অতিরিক্ত উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও বিদেশ থেকে গবাদিপশুর মাংস আনার সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং গবাদিপশুর মাংস মান ও উৎপাদনে বিশুদ্ধতা, নিরাপদ গবাদিপশু খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

তিনি আরও জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, দেশে গবাদিপশুর মাংসের চাহিদা ৭২ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদন হয় ৭৫ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকার গবাদিপশুর মাংস আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

মাদকসংক্রান্ত আইন সংশোধনের তাগিদ

0

ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তি প্রশ্নবিদ্ধ

আশরাফ-উল-আলম: ভয়ংকর মাদকদ্রব্য ইয়াবা উদ্ধার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত যে শাস্তি দেন তা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রচলিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক। হাতেনাতে ধরা পড়া ইয়াবা কারবারিদের শাস্তির বিধান আছে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে। কিন্তু মূল আইন রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া ইয়াবা ট্যাবলেট বহনকারীকে শাস্তি দেওয়া সমর্থন করে না। এ কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন এবং এসংক্রান্ত বিধি সংশোধন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।

ইয়াবা উদ্ধার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া শাস্তিসংক্রান্ত এক মামলার আপিলের রায়ে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানও। গত বছরের ১২ জুন ওই রায় ঘোষণা করা হয়।

ওই রায়ে বলা হয়, ইয়াবা নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য। কিন্তু এটি আসলেই কোনো মাদকদ্রব্য কি না সে বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলে উল্লেখ নেই। তফসিলে মিথাইল এমফিটামিন নামের পদার্থকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাধারণত ইয়াবায় মিথাইল এমফিটামিন থাকে। ইয়াবায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উল্লিখিত মাদকের শ্রেণিভুক্ত মিথাইল এমফিটামিনের অস্তিত্ব রয়েছে কি না তা রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া নির্ণয় করার সুযোগ নেই। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১)-এর ৯(ক) ধারায় ২০১৮ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক আসামিকে শাস্তি দেওয়ার পর ওই মামলা থেকে উদ্ভূত আপিলের রায়ে এসব কথা বলা হয়। তবে সব আসামির ক্ষেত্রে আইনের ব্যাখ্যা একই রকম বলে মনে করেন ফৌজদারি মামলা পরিচালনাকারী বিশিষ্ট আইনজীবীরা।

১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এখন আর কার্যকর নেই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ প্রণীত হওয়ার পর নতুন আইনেই বিচার চলছে। নতুন আইনের তফসিলেও ইয়াবা ট্যাবলেটকে সরাসরি কোনো মাদকদ্রব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নতুন আইনেও এমফিটামিনকে মাদকের শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। তাই নতুন আইনেও রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তি দেওয়া বেআইনি হবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।

বিশিষ্ট ফৌজদারি আইনজীবী ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রচলিত আইনে ইয়াবা কোনো মাদক নয়। ইয়াবায় এমফিটামিনজাতীয় মাদক থাকে। এমফিটামিনকে মাদক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে আইনে। কিন্তু সেটা পরীক্ষা না করে কাউকে সাজা দেওয়া বেআইনি হবে। আপিলের রায়েও সে কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘রায়ে একজন সিনিয়র বিচারক অত্যন্ত সঠিক অভিমত দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ইয়াবার মামলায় যে শাস্তি দেওয়া হয় তা প্রশ্নবিদ্ধ।’

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক (আসিফ) বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় যে শাস্তি দেন তা আইনসিদ্ধ নয়। তার পরও অসংখ্য খুচরা ইয়াবা কারবারিকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাত্ক্ষণিক কিছু সাজা দেওয়ায় খুচরা কারবারিরা নিরুৎসাহী হচ্ছে। এটা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ভালো। কিন্তু আইনের বাইরে কিছু করা ঠিক নয়। এ কারণে প্রয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন সংশোধন করা উচিত।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৬২ ধারায় রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন এবং এর প্রতিবেদনের গুরুত্ব উল্লেখ আছে। এই ধারার (২) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন হলে পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে। (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, রাসায়নিক পরীক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন মামলা দায়ের, মাদকদ্রব্য অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার বা অন্য কোনো কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বাতিল হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও এমন ব্যবস্থা ছিল।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে নাজমা বেগম ওরফে নাগিন নামের একজনকে ৪৩টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছিল র‌্যাব-২। আটক নাগিনকে র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আসামি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেছিলেন ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল শুনানি শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর আপিলের রায় ঘোষণা করেন এবং সাজা বহাল রাখেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার আপিল করেন। আপিলটি স্থানান্তর করা হয় ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে। বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শেষে রায় দেন গত ১২ জুন। রায়ে এক বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বিশেষ জজ রায়ে বলেন, মূল মামলায় আসামির কাছ থেকে ৪৩টি ‘ইয়াবা’ বা ‘বাবা’ পাওয়া যায়। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১)-এর ৯(ক) ধারায় শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য অর্থ আইনের প্রথম তফসিলে বর্ণিত কোনো মাদকদ্রব্য। কিন্তু প্রথম তফসিলে বর্ণিত মাদকদ্রব্যের মধ্যে সরাসরি ইয়াবা বা বাবার নাম নেই। রাসায়নিক পরীক্ষায় যদি ইয়াবায় মিথাইল এমফিটামিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলেই সেটা মাদকদ্রব্য হিসেবে গণ্য হবে, অন্যথায় নয়। রাসায়নিক পরীক্ষা না করেই সাজা দেওয়া হয়েছে। ইয়াবায় কোনো লেবেল থাকে না। কাজেই কী কী উপাদান ওই ট্যাবলেটে রয়েছে তা রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া নির্ণয় করার সুযোগ নেই। কাজেই আসামিকে সাজা দেওয়া আইনসম্মত হয়নি।

বিশেষ জজ আদালতের ওই রায় পর্যালোচনা করে আইনজীবীরাও মনে করেন, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও সরাসরি ইয়াবাকে মাদকের তফসিলভুক্ত করা হয়নি। তাই এ ক্ষেত্রেও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়া শাস্তি দেওয়া বেআইনি।

বিশিষ্ট ফৌজদারি আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, মাদক আইনে কাউকে সাজা দিতে হলে মাদক উদ্ধারের ঘটনা থাকতে হবে। আর সেটা মাদক কি না তা পরীক্ষার জন্য যে বিশেষ বিধান রয়েছে যা অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, ‘এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের যুগ। হাতনাতে ধৃত আসামিকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পুলিশ ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেটকেও উপস্থিত থাকতে হয়। আইন অনুসরণ করে সাজা দেওয়ার জন্য সঙ্গে মাদকদ্রব্য বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞকেও রাখা যায়। তিনি মাদক পরীক্ষার সরঞ্জাম সঙ্গে রাখতে পারেন। তিনি মতামত দেওয়ার পর মাদক দখলকারী বা সেবনকারীকে সাজা দিলে তা আইনসম্মত হবে।’

এ প্রসেঙ্গে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বলেন, বিশেষজ্ঞ দ্বারা তাত্ক্ষণিক পরীক্ষা করার পর যে কোনো শাস্তি আইনসম্মত হবে। আর সে ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্যসংক্রান্ত আইন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন ও বিধিমালাও সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌজন্যে: কালের কন্ঠ

শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিলের দাবি শ্রমিক ফ্রন্টের

0

শ্রম আইন ও বিধিমালায় শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশ করে তারা।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘ব্যবসায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ২০০৬ সালে কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্রমিকদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখে যে শ্রম আইন পাস করেছিল, তা দীর্ঘদিন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী ধারা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে শ্রম আইনে আগের কিছু ধারা সংশোধন করা হলেও শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী নতুন কিছু ধারা যুক্ত করা হয়। ২০১৫ সালে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন এবং ২০১৮ সালে শ্রম আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হয়। বর্তমানেও বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, শ্রমিক আন্দোলন বা বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের আলোচনার মুখে সরকার শ্রম আইন সংশোধন করলেও প্রতিটি শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার বদলে বিভিন্ন কৌশলে অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। শ্রম আইনের ২৩, ২৬ ও ২৭ ধারার অপব্যবহার করে শ্রমিকদের কর্মচ্যূত ও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে।’

তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত এবং সামাজিক বৈষম্য নিরসন করতে শ্রম আইন ও বিধিমালার অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করা হোক।’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বুলবুল, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান জুয়েল প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

সেই আইনজীবীর গেজেট হাইকোর্টে স্থগিত

0

মোহাম্মদ জুম্মান সিদ্দিকী নামের একজনকে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই গেজেট কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

দুই আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মোহাম্মদ জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে হাইকোর্টের পৃথক চারটি বেঞ্চ গত ২১ ও ২৮ নভেম্বর এবং ১১ ও ১৫ ডিসেম্বর রিট আবেদনটির ওপর শুনানি গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি তারিক উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনতে সম্মতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে বুধবার আদেশ দেন আদালত।

পরে অনীক আর হক বলেন, আদালত রুল জারি করে ওই গেজেটের কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

ইশরাত হাসান বলেন, রুলে ওই গেজেট কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বার কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের আজকের আদেশের ফলে তিনি আর আপাতত হাইকোর্টে ওকালতি করতে পারবেন না।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জুম্মান সিদ্দিকী হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির ছেলে। আইনে ডিগ্রিধারী জুম্মান সিদ্দিকী নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টের প্র্যাকটিশনার।

বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনা করতে হলে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট (আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত) পরীক্ষায় (এমসিকিউ-লিখিত-মৌখিক) উত্তীর্ণ হতে হয়।

কিন্তু কাউন্সিলের (বার কাউন্সিল অর্ডার অ্যান্ড রুলস ১৯৭২) অনুসারে বিদেশি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন এমন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের হাইকোর্টে সরাসরি আইনজীবী হিসেবে সরকারের দেওয়া গেজেটে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। আইনের এই সুযোগ নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বার কাউন্সিল। এ অনুমতির গেজেট (বেসরকারি ব্যাক্তি এবং করপোরেশ কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে জারিকৃত বিজ্ঞাপন ও নোটিশ সমূহ) ৩১ অক্টোবর জারি করা হয়।

এই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তিতে বার কাউন্সিলের বিধানও চ্যালেঞ্জ করেছেন।

পুলিশ হেফাজতে এক বছরে ১৬ মৃত্যু

0

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বিচার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার। অনেক ক্ষেত্রে বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করার পর পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এ কারণে পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিচার প্রত্যাশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পুলিশি নির্যাতনে আহত হলেও ভুক্তভোগীরা মামলা করেন না। তবে এ সব ঘটনায় পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত, পদোন্নতি স্থগিত ও পদাবনতির মতো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ২০১৯ সালেই সারাদেশে পুলিশের হেফাজতে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে গ্রেফতারের আগে নির্যাতনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতারের পর শারীরিক নির্যাতনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। থানার হাজতখানায় দুই জন আত্মহত্যা করেন। দুই জন অসুস্থ হয়ে মারা যান। বাকি দুই জন নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,‘সম্প্রতি উত্তরা পশ্চিম থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা দুটি তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মৃত্যুর অভিযোগটি হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে তার আত্মহত্যায় কারো প্ররোচনা রয়েছে কি না সে বিষয়টিও আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘হেফাজতে মৃত্যু নানা কারণে হতে পারে। নির্যাতনের অভিযোগ যেমন উঠে আসে, তেমনি অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুর উদাহরণও রয়েছে। হেফাজতে আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে কখনো কখনো। পুলিশি হেফাজতে যে কারণেই মৃত্যু ঘটুক না কেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা পুলিশ সদস্যদের কোনো গাফিলতি, বিচ্যুতি বা অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হ?য়।’

সর্বশেষ গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার হাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৩৫) নামে একজন আসামি মারা যান। পুলিশ বলছে, ঐ আসামি হাজতের গ্রিলের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে গ্রিলের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে রাজি নন নিহত বাবুর সহকর্মীরা। বাবু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একজন নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। ঐ মামলাতেই গত ১৮ জানুয়ারি রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাবুর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে এফডিসির সহকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গাড়িচালক আলমগীর হোসেনকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায়। থানায় রেখে রাতভর মারধর করা হয় তাকে। থানা থেকে মুক্তি পেতে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পরে তার কাছ থেকে ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঐ মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। আদালতে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সময় তিনি পড়ে যান। তার দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে আলমগীর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯ ডিসেম্বর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে মৃতের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা, এসআই মো. মিজানুর রহমান, এএসআই নামজুল ও মো.সোহাগকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলার বাদী অভিযোগ করেন, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে অজ্ঞাত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মামলা তুলে না নিলে তার পরিণতি স্বামীর মতোই হবে।

গত ১৯ নভেম্বর নরসিংদীতে জেলা ডিবি পুলিশের হেফাজতে ইউসুফ মিয়া (৩৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়। ৪ নভেম্বর নরসিংদীর ঘোড়াশালে পাঁচটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় মাধবদীর বিরামপুর এলাকা থেকে ইউসুফ মিয়া ও রোকসানা বেগম নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ ডাকাতির কথা স্বীকার করে। ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করতে গেলে ইউসুফ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে চিকিত্সার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে ৪৫ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার মামলার আসামি ফারুক মিয়ার (৪৮) মৃত্যু হয়। ঐদিন গভীর রাতে পুলিশ বাসায় অভিযান চালিয়ে ফারুককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ঘণ্টা দুয়েক পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ফারুক অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ফারুকের ভাই আব্দুল মতিন হাসপাতালে গিয়ে ফারুকের লাশ দেখতে পান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাশাপাশি দুই হাতের কনুই ও দুই পায়ের আঙুল থ্যাঁতলানো ছিল। ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ জানায় যে ফারুককে আটকের সময় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে সে একটি উঁচু দেওয়াল টপকানোর চেষ্টা করে। এ সময় আঘাত পেলে অসুস্থ হয়ে সে মারা যায়।

ওপরের চারটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাত্র একটি ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহতের পরিবার। অন্য মৃত্যুর ঘটনাগুলোতে মামলা করার সাহস পাননি ভুক্তভোগীরা। অথচ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী কেউ নির্যাতনের শিকার হলে আদালতে অভিযোগ করতে পারেন। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড হতে পারে। কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে।

এ প্রসঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনায় যারা বিচার চাচ্ছেন, সরকারের উচিত তাদেরকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কাজটুকু তাদের করার কথা, সেই কাজটুকু যেন করেন। কেন তারা আগ বাড়িয়ে মানুষকে মেরে ফেলার মতো ঘটনা ঘটাবেন? এটা কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন। যারা এর বিচার চাইছেন, তাদেরকে সরকার যেন যথাযথ সুরক্ষা দেন।

কৃতজ্ঞতা: দৈনিক ইত্তেফাক

বেড়েই চলেছে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু

0

ডয়চে ভেলে: দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার পরও বাংলাদেশে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা কমছে না৷ তবে এক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার হাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়৷ বাবু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ পুলিশের দাবি তিনি হাজতের গ্রিলের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷ তবে তা মানতে নারাজ নিহত বাবুর সহকর্মীরা৷ বিচার চেয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন৷ ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘আমরা বলেছি, হেফাজতে মৃত্যুর দায় পুলিশ এড়াতে পারে না৷ আমরা সবগুলো ঘটনার তদন্ত করছি, অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে৷”

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বা আটক করার পর হাজতে আসামি বা আটককৃত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়৷ এই সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে৷

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মোট ১৮ জন মারা গেছেন৷ ২০১৮ সালে ১৭ জন ও ২০১৭ সালে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷

শুধু হেফাজতে বা হাজতে মৃত্যু নয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি করা ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময়, এনকাউন্টারেও বছর বছর প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক মানুষ৷ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে, ২০১৯ সালে গ্রেফতারের আগে ‘ক্রসফায়ারেই’ মারা গেছেন ২৬৭ জন৷ এর মধ্যে পুলিশের হাতে ১২৯ জন ও র‌্যাবের হাতে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের৷ কোস্টগার্ড ও বিজিবির হাতে মারা গেছেন ৪৫ জন৷ ৮৯ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন গ্রেফতারের পরে৷ ২০১৮ সালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময়, এনকাউন্টার এবং হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৬৬৷ ২০১৭ সালে নিহত হয়েছেন ১৬২ জন৷

এই ধরনের মৃত্যু কেন বন্ধ হচ্ছে না এই প্রশ্নের জবাবে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার করা যাচ্ছে না৷ এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এটা বাড়ছে৷ তবে বর্তমান পুলিশ কমিশনার সদ্য একটা কথা বলেছেন, যেটা আমাদের খানিকটা আশ্বস্ত করে৷ তিনি বলেছেন, হেফাজতে মৃত্যুর দায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনভাবেই এড়াতে পারে না৷ এর আগে কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এমন কথা বলেননি৷’’

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিরোধে একটি আইন ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হলেও, এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে৷ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী কেউ নির্যাতনের শিকার হলে আদালতে অভিযোগ করতে পারেন৷ শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে ন্যূনতম ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে৷ এছাড়া নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড হতে পারে৷

কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে যারা বিচার চান তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা ও সুরক্ষা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনায় যারা বিচার চাচ্ছেন, সরকারের উচিত তাদেরকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া৷ আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে কাজটুকু তাদের করার কথা, সেই কাজটুকু যেন করেন৷ কেন তারা আগ বাড়িয়ে মানুষকে মেরে ফেলার মত ঘটনা ঘটাবেন? এ কাজটুকু কিন্তু অত্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ হয়েছে৷ যারা এর বিচার চাইছেন, তাদেরকে সরকার যেন যথাযথ সুরক্ষা দেন৷ আমরা চাইলেও তারা আমাদের সহযোগিতা করেন না৷’’

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যে ঘটনাগুলো ঘটে আমরা সবগুলো ঘটনারই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই৷ তবে কতগুলো ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই সংখ্যাটি এখনই বলা সম্ভব নয়৷’’

কৃতজ্ঞতা: ডয়চে ভেলে