শিল্পবর্জ্য দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী দূষণ করার বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিজি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে (এনফোর্সমেন্ট) আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দুজনকেই আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বুড়িগঙ্গা নদীর শ্যামপুর এলাকায় শিল্পবর্জ্য বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্বেও পরিবেশ দুষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযথ কোনো ব্যবস্থ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদালতের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে,
১। নদীর পানি যেন দুষিত না হয় সে বিষয়ে পুলিশ দিয়ে নজরদারি করতে শ্যামপুর ও ডেমরা থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২। শিল্পবর্জ্যের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন।
৩। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শ্যামপুর এলাকায় নদীতে শিল্পবর্জ্য ফেলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।
৪। ওই এলাকায় প্রতিমাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।