ঢাকা   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১   দুপুর ২:৩৫ 

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ ভারত বন্ধুত্ব রক্তের বাঁধনে বাঁধা


৭১’এ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের এককোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। থাকা খাওয়া চিকিৎসা যতটুকু সম্ভব সব দিয়েছে।
আমাদেরকে ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। অস্ত্র গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছে।
ডিসেম্বর’৭১ এ আমাদের সাথে জোট বেঁধে যুদ্ধ করেছে। সেই যুদ্ধে তাঁদের পাঁচ হাজারের অধিক সেনা নিহত হয়েছে। প্রায় সতের হাজার সেনা আহত হয়েছে।
পাকিস্তানিরা পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যথা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, রেল, পোর্ট সব ধংস করে দেয়। ভারত দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চলাচলের উপযোগী করে দেয়।।
স্বাধীনতার দু-মাসের মধ্যে ভারত তাদের সমস্ত সেনাবাহিনী ফিরিয়ে নিয়ে যায় যা ইতিহাসে বিরল।
গত কয়েক বছরে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে। সাত দশকের ঝুলে থাকা ছিট মহল ও সীমান্তরেখা সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমাদের মহান নেত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিকেল নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি ভারতে সরকারি দল, বিরোধী দল সবাইকে একমত করিয়ে এই কঠিন সমস্যার সমাধান করেছেন। কারণ এখানে ভারতের সংবিধান সংশোধনীর বিষয় ছিলো। দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন ছাড়া এই সংশোধনি সম্ভব ছিলো না।এই প্রশ্নে সবাইকে এক করেছিলেন।
শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারনে বর্তমানে সীমান্তে শান্তি ফিরে এসেছে। বর্ডার কিলিং একেবারে বন্ধ না হলেও অনেক অনেক কমে গেছে। এক সময় শূণ্যের কোটায় নেমে আসবে।
দুদেশের বাণিজ্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিপূর্বে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিলো খুবই সামান্য। সম্প্রতি তা দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ভারত বিশাল দেশ তাই তাদের রপ্তানি বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনা সরকারের সফলতায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আইন কানুনের প্রতিবন্ধতাগুলো শিথিল হচ্ছে, আমাদের রপ্তানি ও বাড়ছে। তবে ধৈর্য ধরলে রপ্তানি অবশ্যই অনেক বাড়বে।
ভারতের সহায়তায় আমাদের রেল অনেক অনেক এগিয়েছে। সামনে আরো এগুবে।
আমাদের শিল্পের কাঁচামাল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ভারত থেকে সহজে পাওয়া যায়। সময় ও খরচ তুলনামূলক কম দামে।
এছাড়া বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারতে চিকিৎসা ও ভ্রমনে যায়। নিকট বৃহৎ প্রতিবেশীর সাথে কিছু সমস্যা থাকবেই যেমন তিস্তার পানি। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও পশ্চিম বাংলা সরকারের “ভোট রাজনীতি”র কারণে এই চুক্তিটি সম্পাদন সম্ভব হয়নি। আরো চুয়ান্নটি নদীর পানি নিয়েও সমস্যা আছে। ধীরে ধীরে সমাধান হবেই।
কিছু অন্ধ ভারত বিরোধীতার কারণে এক সময় আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরেছিলো। সেটা এখন কেটে গেছে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এগুলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া হবে শান্তি ও সমৃদ্ধির অঞ্চল।
লেখক: রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত