ঢাকা   শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১   ভোর ৫:২৯ 

Home Blog Page 164

প্রতারক সাহেদকে ধরতে অভিযান, বিমান, স্থল বন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি

0

প্রতারক মোহাম্মদ সাহেদকে ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব। এজন্য চারটি দল মাঠে। সাহেদ যাতে পালাতে না পারে এ জন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তেও সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তার জানিয়েছেন,
জালিয়াতির অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার পর এর মালিক মো, সাহেদকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

র‌্যাব জানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে র‌্যাবের চারটি দল। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

“তিনি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন। এ ধরনের তথ্য আছে। আর সে অনুযায়ী বিমানবন্দরসহ স্থলবন্দরগুলোতেও তার ব্যাপারে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি যেন কোনোভাবেই দেশের বাইরে যেতে না পারেন। আমরা তাকেসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছি।”

করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং মেয়াদপূর্তির পরও লাইসেন্স নবায়ন না করায় মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; অথচ এই হাসপাতালটি সরকারই করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেছিল।
তার আগের দিন উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিল র‌্যাব। তখন সাহেদ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

সোমবার অভিযানের সময় রিজেন্ট থেকে আট কর্মচারীকে ধরে এনেছিল র‌্যাব। মঙ্গলবার করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মনিরুজ্জামান নামে (২৩) হাসপাতালের এক কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম।

র‌্যাব বিকালে হাসপাতালটি এবং পরে সন্ধ্যায় উত্তরার তাদের প্রধান অফিসটি সিলগালা করে দেয়।

প্রতারক এই সাহেদকে নিয়ে প্রথম আলো যা লিখলোঃ এই সাহেদ করিম আদতে একজন প্রতারক। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি নিজের যে পরিচয় দিয়েছেন, তাতে তাঁকে প্রভাবশালী বলেই মনে হয়। ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য; ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট; রিজেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড, কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি, রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান। সেন্টার ফর পলিটিক্যাল রিসার্চ নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও চেয়ারম্যান তিনি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেছেন, সাহেদ করিম কমিটির সদস্য নন। তিনি মাঝে মাঝে বৈঠকে আসতেন। আগে কোনো একসময় সদস্য ছিলেন।

ছবি আছে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও সাংসদদের সঙ্গে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষস্থানে থাকা লোকজনের সঙ্গেও ছবি আছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম বলেছেন, দুষ্টু লোকেরা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে ছবি তোলেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, বছর তিন-চারেক আগে তিনি নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষে ঘোরাঘুরি করতেন। তবে ঘন ঘন টকশোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি নিজের প্রভাব বাড়িয়েছেন। নতুন কাগজ নামের একটি পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন সম্প্রতি। নিজেকে উত্তরা মিডিয়া ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন।

সাহেদ করিমের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। ওখানে তাঁদের করিম সুপার মার্কেট নামের একটি বিপণিবিতান ছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। তবে মাঝে মাঝে সাতক্ষীরায় যেতেন। তাঁর মা সাফিয়া করিম ২০০৬-০৭ সালের দিকে স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানান, নানা পরিচয়ে তিনি লোকজনের টাকা মেরেছেন।

২০০৯ সালে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ ও র‌্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই মামলার কাগজপত্রে দেখা যায়, খুলনার একটি টেক্সটাইল মিলের জন্য দুই টনের ১০টি ও দেড় টনের ১৫টি এসি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল সাহেদ করিমের প্রতিষ্ঠান। জিনিসপত্র নিয়ে ১৯ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন রাইজিং শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি এবং রাইজিং রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম। অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনায় মামলা করে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর আলী ওই সময় প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সাহেদ একজন পেশাদার প্রতারক। শাহবাগ, লালবাগ, আদাবর, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন থানায় তাঁর নামে প্রতারণার মামলা আছে।

সূত্রগুলো জানায়, ২০১১ সালে তিনি ধানমন্ডিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পরে টাকা নিয়ে চম্পট দেন। ওই সময় প্রতারণার শিকার লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, কয়েক বছর তিনি বারাসাতে ছিলেন সপরিবার। পরে মামলাগুলোয় জামিন পেলে দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করেন।

একে একে এই সাহেদ করিম রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড (মিরপুর), রিজেন্ট হসপিটাল লিমিটেড (উত্তরা), ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ, রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, হোটেল মিলিনা গড়ে তোলেন। তবে স্বভাব বদলাতে পারেননি বলে অভিযোগ ফেনীর জুলফিকার আলী ভুট্টোর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সাহেদ করিমের মালিকানাধীন রিজেন্ট কেসিএস পূর্বাচল প্রজেক্টে বালু সরবরাহের কাজ পেয়েছিল তাঁর প্রতিষ্ঠান রুসাফা কনস্ট্রাকশন। সিলেট থেকে বালু সরবরাহের পর সাহেদ করিম তাঁর পাওনা ৪২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৫৯ টাকা দেননি। উল্টো একদিন অফিসে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পেটানো হয়। তারপর ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সই নিয়ে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুট্টো।

নমুনা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট। এমন হাসপাতালকে কোভিড চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন।

বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে সাহেদ করিম কখনো মেজর, কখনো সচিব, আবার ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হিসেবেও নিজের পরিচয় দিয়েছেন। মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ থেকে ছয় কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার নথিতে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হিসেবে জাহির করেন। এ বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা চলছে। সাহেদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় দুটি, বরিশালে একটি, উত্তরা থানায় আটটি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে। তবে মামলাগুলোর বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। অপরাধের পরিসংখ্যান লিপিবদ্ধ থাকে যে বিভাগে, সেটির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সাহেদের নামে কোনো মামলার রেকর্ড নেই। অন্য নামে থাকতে পারে। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে রিজেন্ট গ্রুপের ওয়েবসাইটে নিজেদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগী হিসেবে জানান দিয়েছিল রিজেন্ট হাসপাতাল। কেউ অসুস্থ হলেই হটলাইনে ফোন করার কথা সেখানে বলা আছে। কিন্তু সোমবার রাতে সাহেদ করিম প্রথম আলোকে বলেন, বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি।

গতকাল ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে জানান, তিনি সাত দিন রিজেন্ট হাসপাতালে ছিলেন। দুই দিন অক্সিজেন লেগেছিল। পরিশোধ করতে হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষার নামে খরচ পড়েছে ৩০ হাজার টাকা। অধিদপ্তরের ঘোষণা শুনে তিনি ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু এত টাকা দিতে হবে তিনি কল্পনাও করেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবই জানতঃ
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক বায়েজীদ খুরশিদ রিয়াজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে গত ৭ জুন চিঠি দিয়েছিলেন রিজেন্টের অপকর্ম নিয়ে। এতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা করে আদায় করছে। অথচ সরকার বিনা মূল্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে দিচ্ছে। নিপসম থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানানোর জন্য যে এসএমএস প্রত্যেক নমুনা প্রদানকারীকে পাঠানো হচ্ছে, তাতেও বিনা মূল্যে এই সেবা দেওয়ার বার্তা থাকছে।

ওই চিঠির পরও অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা রিজেন্ট থেকে দিনে ৫০টি নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে জানতে নাসিমা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের দাবি, শুরুতে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড রোগীর চিকিৎসা দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। তাই তাঁরা সরল বিশ্বাসে রিজেন্টকে দায়িত্ব দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো খোঁজখবর না নিয়ে, এই হাসপাতালের দক্ষতা যাচাই না করে কীভাবে কোভিড চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ দিল, তা জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। তবে সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন যে ওই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, এমন একটি হাসপাতালকে চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় নিয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। ক্ষমতাবানেরা এর পেছনে থাকতে পারেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেস (বিআইএইচএস) সরকারকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল। চিঠিও দিয়েছিল। টাকাপয়সাও চাওয়া হয়নি। তারপরও বিআইএইচএসকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। রশিদ-ই-মাহবুবের ধারণা, এমন পর্যায় থেকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে, যেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের নেই। 

অধস্তন আদালতের ৪৪ বিচারক ১৬৭ জন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত, এক বিচারকসহ মারা গেছেন ৩ জন

0

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত
করোনা মনিটরিং ডেস্ক এর ৬ জুলাই রাত পৌনে দশটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অধস্তন আদালতের মোট ২১১ জন বিচারক ও কর্মচারী করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন বিচারক এবং ১৬৭ জন কর্মচারী। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্ত বিচারকদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ জন, লালমণিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন, মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ মো. কামরুল হাসান হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অন্যরা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন । আক্রান্ত কর্মচারীদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত মনিটরিং ডেস্ক এর রিপোর্ট প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আক্রান্তদের খোঁজ-খবর রাখছেন । এজন্য আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার প্রতিদিনের রিপোর্ট রাত ১০ টার মধ্যে আইনমন্ত্রীকে অবহিত করছেন এবং মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

ঋণ খেলাপির দায়ে ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে অপসারণ

0

ঋণ খেলাপি হওয়ায় এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
“তিনি আগামী তিন বছর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বসতে পারবেন না।”

সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে অপসারণ সংক্রান্ত চিঠি রোববারই ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, সাঈদ হোসেন চৌধুরীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণ থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী তার ওয়ান ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকার কোনো সুযোগ নেই।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সাঈদ হোসেন চৌধুরী তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়েছিলেন। নিয়মিত পরিশোধ না করায় পরে তা খেলাপি হয়ে যায়। এখন ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী একজন খেলাপি কোনো ব্যাংকের পরিচালক থাকতে পারেন না। আর পরিচালক না হলে চেয়ারম্যান হওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।”

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ভাই সাঈদ হোসেন চৌধুরী এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের বাবা হেদায়েত হোসেন চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা।

এইচআরসি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং লাইনসের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন সাঈদ হোসেন । গত বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এইচআরসি শিপিং লাইনসের কাছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সুদসহ মোট পাওনা দাঁড়ায় ১২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

সেই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের খেলাপির তালিকায় তার নাম আসে। পাওনা আদায়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ৩১ দশমিক ৮০ ডেসিমেল জমির ওপর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান আরাকান এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাণিজ্যিক শেড ও স্থাপনা নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি নেয় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা। ঋণ নেওয়ার সময় ওই সম্পত্তি বিন্ধক রেখেছিল এইচআরসি গ্রুপ।

পারিবারিকভাবেই শিপিং লাইনস হানজিন ও পিআইএলসহ বেশ কয়েকটি শিপিং লাইনসের ব্যবসা ছিল সাঈদ হোসেন চৌধুরীর। সে সুবাদে নিজেও এইচআরসি শিপিং লাইনস নামে ওই কোম্পানি গড়ে তোলেন তিনি। এক সময় পণ্য আনা-নেওয়ায় আটটি জাহাজ ছিল এ কোম্পানির বহরে।

তবে বর্তমানে ওই কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই। বারিধি শিপিং লাইনস লিমিটেড, এভারগ্রিন, বাংলাদেশ ল্যান্ড লিমিটেড, এইচআরসি সিন্ডিকেট, এইচআরসি ট্র্যাভেলস, এইচআরসি লাইটিং, এইচআরসি প্রপার্টিজ, এইচআরসি মিডিয়া, আরাকান এক্সপ্রেস লিমিটেডসহ মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছেন সাঈদ হোসেন চৌধুরী।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল আদালত কার্যকর থাকবে নাঃ আইনমন্ত্রী

0

শুধু বিশেষ পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল আদালত: আইনমন্ত্রী

মহামারীর মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বিধি রক্ষায় ভার্চুয়াল আদালত চালুতে জারি করা অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হলেও তা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য হবে না বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।

রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবন মিলনায়তনে রোববার সহকারী জজদের অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ভার্চুয়াল আদালত সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকদের পাশাপাশি আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রথা চালু হবে এটাই স্বাভাবিক।

“কিন্তু এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভার্চুয়াল কোর্ট স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বদলে বিকল্প হিসেবে কাজ করার জন্য নয়।

“সংবিধান, সিআরপিসি, সিপিসি এবং সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী আদালতের কাজ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয় সেটাই বলবৎ থাকবে।”

কোন কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল আদালত চলবে সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “শুধু অস্বাভাবিক বা বিশেষ কোনো পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট প্রথা অবলম্বন করা হবে। ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশটি স্থায়ী আইনে পরিণত হলেও সেটার ব্যবহার হবে বিশেষ পরিস্থিতিতে।”

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ তৈরি করতে একটি অধ্যাদেশের খসড়ায় গত ৭ মে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সরকার গত ৯ মে সেই অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর গত ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে ডিজিটালি বিচারকার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালরে তথ্যানুযায়ী, ১১ মে থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ৩৫ কার্যদিবসে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকরা ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ৯৫ হাজার ৫২৩টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন। এই সময় ৪৯ হাজার ৭৬২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সেবার সঙ্গে বিচারক ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সমানতালে এগিয়ে নিতে চায়।

“সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায় যেখানে সকল মানুষ তার আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় সেবাগুলো সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন।”

গত ১ জানুয়ারি সহকারী জজ ও জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেটদের চারমাস মেয়াদি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করা হয়। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৩ মার্চ সেই কোর্সটি স্থগিত করা হয়।

এখন সেই কোর্স অনলাইনের মাধ্যমে শেষ করা হবে, রোববার যার উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।

।।মেধার মূল্যায়ণ হউক।।

0

শংকর মৈত্রঃ অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, ফাইজার, গ্লাসগোতে যারা গবেষণা করেন তারাও মানুষ, আমাদের আসিফ মাহমুদ, বিজন শীলরাও মানুষ। অক্সফোর্ডের গবেষকদের গবেষণার সুযোগ সুবিধা অনেক অনেক অনেক বেশী। আনলিমিটেড টাকা তারা খরচ করতে পারে, হয়তো বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি তাদের পেছনে বিনিয়োগ করে। কিন্তু আমাদের আসিফ মাহমুদ, বিজন শীল, সমীর সাহা,সেজুঁতি সাহাদের গবেষণার এতো সুযোগ নেই। মাস শেষ নির্ধারিত বেতনের চাকরি তারা করেন। গবেষণার জন্য চাইলেই তারা কোটি কোটি টাকা ঢালতে পারেন না। কিন্তু তাদের মেধা কী কম? একমাত্র টাকা খরচের সুযোগ ছাড়া মেধাবী মূল্যায়ণে কম কিসে তারা? এই করোনার জিন রহস্যতো ড. সমীর সাহা আর তার কন্যা ড. সেজুঁতি সাহাই আবিস্কার করেছেন। এটা আমাদের সফলতা নয়? গণস্বাস্থ্যের করোনার কিট ড. বিজন শিল আবিস্কার করেছেন। শতভাগ কাজে না লাগলেও কিছুটাতো হচ্ছে। প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে,সুযোগ দিলে আরো ভালো করবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
ড. আসিফ মাহমুদ করোনার ভ্যাক্সিন আবিস্কারের পথে। সকল পরীক্ষা নিরিক্ষার পর এটার সফলতা দাবি করা হবে। এখনও সে প্রক্রিয়ার পথে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আসিফ মাহমুদ সফল হবেন। তার শিক্ষা মেধা কোনো অংশেই কম নেই। তার সৃষ্টিশীল চিন্তার কোনো কমতি নেই। নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে তাদের গবেষণা করতে হচ্ছে। হয়তো তার যন্ত্রপাতিসহ নানাকিছুতে দরকার ১০ কোটি টাকা কিন্তু তাকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি। খেয়ে না খেয়ে শুধু সৃষ্টিশীলতার তাগিতে, দেশপ্রেমের তাগিদে আসিফ মাহমুদ, বিজন শীলরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। আমি নির্দ্বিধায় বলবো রাষ্ট্র বা কেউ তাদের শতকোটি টাকার ফান্ড দিক, সব সুযোগ সুবিধার যোগান দিক দেখেন আমাদের এই মেধাবিরা কি সৃষ্টি করে।
স্বজাতির প্রতি এতো আস্থাহীনতা, হিংসা এই বাঙালী ছাড়া আর কোনো জাতির মধ্যে নেই। বাঙালী আসলেই একটা নৃ-তাত্বিকভাবে পরিচয়হীন জাতি। উষ্ঠা লাথি খাউরা জাতি। সাদা চামড়া দেখলেই কদমবুসি শুরু করে। নিজের প্রতি এতো অবিশ্বাসী, ভাবতেই অবাক লাগে। পারে শুধু ধর্ম নিয়ে, গোষ্ঠী নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে। সব অনুভূতি গিয়ে ঠেকে ধর্মতে।
অথচ এরা নিজেদের পূর্বসূরিদের কথা মনে রাখে না। এরা এফ আর খানকে ভুলে যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতম ভবন যিনি তৈরী করেছিলেন। ১৯৭০ সালে আমেরিকার শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার বানিয়েছিলেন যা ছিল ১১০ তলা। এর আগে কেউ এটা ভাবতেই পারে নি। এফ আর খানকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী বলা হয়। এই এফ আর খান কিন্তু আরমানিটোলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন, বুয়েটে পড়েছেন এবং শুনেছি ভালো রেজাল্ট করেও বুয়েটের শিক্ষক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয় নি। আর সেই আরমানিটোলার এফ আর খান আমেরিকায় গিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভবন বানিয়েছেন। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও আমেরিকা থেকে বীরের ভূমিকা পালন করেন এফ আর খান। পৃথিবীর তাবত প্রকৌশলীরা তাকে কুর্নিস করেন।
রেডিও বা বেতারযন্ত্র আবিস্কার করেন এই বিক্রমপুরের সন্তান জগদীশ চন্দ্র বসু। প্যাটেন্ট করতে না পারায় কৃতিত্ব নেন মার্কনি। উদ্ভিদের প্রাণ আছে এটাওতো প্রমাণ করেছিলেন এই বাঙালী জগদীশ বসু।
যার নামে একটা পরমানুর কণার নাম, সেই বোসকণার আবিস্কারক সত্যেন্দ্রনাথ বোসকে কজন চেনে? যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার জন্য আইনস্টাইন সুপারিশ করেছিলেন। সেই সত্যেন বোসও তো বাঙালী। এমন আরো অনেককে খুঁজে পাওয়া যাবে।
এদের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। চেতনা চেতনা করে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
দেশে অনেক মেধাবী রয়েছেন যারা সুযোগের অভাবে অন্তর্জ্বালায় মরছেন। আর বিদেশে যারা চলে গেছেন তারা তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে হঠাৎ উদ্ভাসিত হচ্ছেন। এইতো আজকেই দেখলাম ইংল্যান্ডে বর্ষসেরা চিকিৎসক হয়েছেন ফারজানা হুসেইন নামে একজন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত। ইংল্যান্ডের মিডিয়ায় খবরের শিরোনাম হয়েছেন ফারজানা।
এই মুহুর্তে অক্সফোর্ডে করোনা ভ্যাকসিন গবেষণা টিমে আমাদের দেশের আরেকজন মেয়ে রয়েছেন। যদি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আবিস্কার হয় তা হলে দেইখেন এই বাঙালী মেয়ের নাম ডাক।
কাজেই নোয়াখালীর গ্লোব কোম্পানির বিজ্ঞানী আসিফ মাহমুদের করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের খবরে যারা হাসি তামশা করছেন, ট্রল করছেন, তাদের বলবো আপনারা মুর্খতার পরিচয় দিচ্ছেন। মানুষের মেধা ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নেই। সাদা চামড়ার পদলেহন ছাড়েন। ধর্মের সংকীর্ণতা ছাড়েন। স্বজাতির সন্তানদের মেধার মূল্যায়ণ করেন। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখেন। যার নিজের প্রতি আস্থা নেই সেই নাস্তিক। ##

সাংবাদিক ফারুক কাজী আর নেই

0

বিশিষ্ট সাংবাদিক ফারুক কাজী আর নেই। শুক্রবার সকালে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
ফারুক কাজীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক ফারুক কাজীর মৃত্যুতে প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি ফারুক কাজী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়।
দীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলার বাণী, বাসস, ইউএনবি, অবজারভারসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন ফারুক কাজী। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।

স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় দুর্নীতিঃ গডফাদার মিঠুসহ ৫ জনকে শেষ পর্যন্ত তলব করেছে দুদক, রয়েছেন জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যানও

0

স্বাস্থ্যখাতে ঠিকাদার সিন্ডিকেটের গডফাদার হিসেবে পরিচিত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে শেষ পর্যন্ত তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন,দুদক।
মাস্ক ও পিপিইসহ নিম্ন মানের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সরঞ্জম সরবরাহে দুর্নীতির ঘটনায় মিঠু ছাড়াও আরো ৪ জনকে তলব করা হয়েছে। এরা হলেন- জেএমআইয়ের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক ও তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মো. মতিউর রহমান, এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির। মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক।
বুধবার কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরিত এক নোটিসে তাদের তলব করা হয় বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে রাজ্জাক, মতিউর ও  আমিনুলকে ৮ জুলাই এবং হুমায়ুন ও মোতাজ্জেরুলকে ৯ জুলাই সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২০ বছর ধরে স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটায় মিঠুর নেতৃত্বে বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের দুর্নীতিগ্রস্ত একটি চক্রের যোগসাজশে এই সিন্ডিকেটের ঠিকাদাররা একচেটিয়া কেনাকাটার দায়িত্ব পেয়েছে। আর এই সিন্ডিকেটের লুট করেছে শত শত কোটি টাকা।
মিঠুর প্রভাবে কেউই তার টিকিটি ছুঁতে পারে নি। সব সরকারের আমলেই প্রভাবশালীদের সঙ্গে লিয়াজো করে চলেছে। এমন কি দুদকেও তার সিন্ডিকেটের লোক রয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে।
তবে নানামুখি চাপে এবার দুদক আটঘাট বেধেই মাঠে নেমেছে। দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলি পুরো বিষয়টা তদারকি করছেন বলে জানা গেছে।
দুদকের নোটিসে বলা হয়, “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্তে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।”
তারা নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে ওই অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন দুদক কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে সংস্থাটি।

চীন নিয়ে কিছু কথা

0

শংকর মৈত্র।। ১৯৪৯ সালের আগ পর্যন্ত চীন ছিল একটা দুর্নীতিগ্রস্ত, দরিদ্র রাষ্ট্র। গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত একটি দেশ। ১লা অক্টোবরের বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে মাও সে তুং এর নেতৃত্বে চীনে কমিউনিস্ট শাসন কায়েম হয়। এর পর থেকে চীন শুধু এগিয়েই যাচ্ছে।
৭০ বছরে চীন এখন সারা পৃথিবীর জন্য চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতি সামরিক সব শক্তিতেই বলিয়ান। চীন এখন একক পরাশক্তি।
এটা সম্ভব হয়েছে চীনের দেশপ্রেমিক শাসকদের কঠোর একনায়কতন্ত্রের কারণে। কমিউনিস্ট শাসক মাও সে তুং কার্ল মার্ক্স, লেনিনের সমাজতন্ত্র কায়েম করেছেন ঠিকই, কিন্তু সেটা চীনা সংস্করনে। চীনের কনফুসীয় ঐতিহ্যকে তিনি বাদ দেননি। কারো অন্ধ অনুকরণ করেন নি। সোভিয়েতের তো নয়ই ( আমাদের এখানে কমিউনিস্টরা ফেল হয়েছে মূলত মস্কোতে বৃষ্টি হলে ঢাকায় ছাতা ধরার কারণে)।
মাও সে তুং বুঝেছিলেন, চীনে আগে দরকার কৃষি বিপ্লব, এর পর শিল্প। যার ফলে তিনি শহরের চেয়ে গ্রামের উন্নয়নে জোর দেন। গ্রামকে, গ্রামের মানুষকে, কৃষককে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলেন। কৃষকের প্রতি ইঞ্চি জায়গা কাজে লাগানো হয়, ফসল ফলানো হয়। কৃষকের অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। ফলে মাত্র কয়েক বছরেই চীনে কৃষি বিপ্লব হয়, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়। চীনে গড়ে ওঠে বিপ্লবী জাতীয়তাবাদ। মাও সে তুং বুঝেছিলেন, প্রলেতারিয়েতের মধ্যে স্বঃতস্ফূর্তভাবে কোনো রাজনৈতিক চেতনা বিকাশ লাভ করে না। তাই তিনি এ শ্রেণিকে রাজনীতিতে আনেন নি। আগে উন্নয়ন। কৃষি বিপ্লবের পর হাত দেয়া হয় শিল্প বিপ্লবে এবং সেটাতেও সফল চীন। ছোট বড় সব শিল্পই এখন চীনের। সূই থেকে কামান সব বানাতে পারে চীন। ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাও সে তুং ছিলেন চীনের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি চীনের শুধু ভিত ই গড়ে যান নি, চীনকে পরাশক্তিতে পরিণত করে গেছেন।
চীন নিয়ে আমার এতোকিছু বলার কারণ করোনাভাইরাসের কারণে চীন যেমন এ বছর আলোচনায় এসেছে তেমনি সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বিরোধের পর পৃথিবীর অক্ষশক্তিগুলো চীনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবীকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে চীন।
কারণ কি? কোন শক্তিতে চীন বলিয়ান? তত্ব-তালাশ করে দেখলাম চীন আসলে কারো ধার ধারে না। সে নিজের শক্তির উপর নির্ভর। চীনে চীনা স্টাইলে সমাজতন্ত্র বিরাজমান। সেখানে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন নেই, বিরোধী দলীয় রাজনীতি নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, ধর্মপালনের স্বাধীনতা নেই, বিয়ে করার স্বাধীনতা নেই, সন্তান জন্ম দেয়ার স্বাধীনতা নেই, প্রেম ভালোবাসার স্বাধীনতা পর্যন্ত নেই। অর্থাৎ শুধু নেই নেই আর নেই। আসলে রাষ্ট্রপরিচালনায় চীনের মানুষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। কোনো অধিকার নেই। যা করার সবকিছু করবে কমিউনিস্ট শাসকরা। সরকারের কোনো নীতির বিরোধিতা করলে সোজা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যু।
কিন্তু এই একনায়কতন্ত্রের মধ্যেই চীন শুধু আগাচ্ছেই। জনগণও তা মেনে নিয়েছে। অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি এখন ভৌগলিক সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করছে।
এই আগানোর জন্য দেশটির জনগণই উৎপাদনের মূল ভূমিকা রাখছে। জনগণকে শেখানো হয়েছে দেশটি তাদের সবার। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের নয়, বর্ণের নয়। তারা জানে অন্যায় করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। ধর্ম নিয়ে তারা ভাবেই না। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কঠোর শাস্তি। আরেকজনকে ল্যাং মেরে টেনে নামানোর চেষ্টা করে না। নিজেদের ভাষায় পড়াশোনা করে নিজেরাই প্রযুক্তি দিয়ে আগাচ্ছে।
আমাদের মতো এতো ধর্মানুভূতি তাদের নেই, ইংরেজী না জানলে শিক্ষিত না, এমন মানসিকতা তাদের নেই।
আমরা এখন চীনের দিকে ঝুঁকছি। ভালো কথা। কিন্তু চীনের মানুষের মানসিকতা কি আমরা পোষণ করি? সুযোগ পেলেই আমরা চুরি করি, ধর্মানুভূতির নামের আরেকজনের ওপর নির্যাতন করি, ধর্মের জন্য পাগল হয়ে যাই, কাজে ফাঁকি দিই।
এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে চীনকে অনুসরণ করতে পারলেই চীনের মতো আগাতে পারবো। না হয়, চীনের সাহায্য প্রার্থী হয়েই আমাদের থাকতে হবে। পঞ্চাশ বছর ধরে শুধু বলয়ই পরিবর্তন হচ্ছে। কখনো আমেরিকা,কখনো রাশিয়া,কখনো ভারত কখনো পাকিস্তান। লাভটা কী ? নিজেদের বৈশিষ্ট কোথায়? কিছু পাবলিক অযথাই নাচে।
আগে পশ্চিমাদের সাহায্য বেশী আসতো এখন আসবে চীনের। তবে পশ্চিমা- আর চীনের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। চীন সমাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদি শক্তি। সে ঋণের জ্বালে আমাদের আবদ্ধ করে ফেলছে। এই ঋণ যদি সঠিক কাজে লাগানো না যায় তা হলে সুদে-আসলে আদায় করে নেবে চীন। ##

বাংলাদেশে এলপিজি ব্যবসার জন্য ভারতের আইওসি মিডল ইস্ট এফজেডই এবং আরআর হোল্ডিংস লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

0

ভারতের বৃহত্তম রিফাইনার এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মালিকানাধীন দুবাইভিত্তিক সহায়ক সংস্থা আইওসি মিডল ইস্ট এফজেডই এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো এলপিজির নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রস আল খাইমাহভিত্তিক আরএআর হোল্ডিংস লিমিটেড বাংলাদেশে এলপিজি ব্যবসার জন্য একটি ৫০:৫০ মালিকানার যৌথ উদ্যোগ সংস্থা গঠনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারত সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস ও ইস্পাত বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, “ইন্দো-বাংলাদেশ সহযোগিতার ইতিহাসে আজকের আর একটি বড় উপলক্ষ হল দুবাইভিত্তিক ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি ব্যবসার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের তাদের হোল্ডিং সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় এলপিজি সংস্থার সাথে যোগ দিচ্ছে।“ এলপিজির ব্যাপক ব্যবহারে ভারতের সাফল্যের মতোই এই নতুন যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যের এলপিজির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সহায়ক হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জনাব সালমান ফজলুর রহমান এমপি বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ সম্ভাবনা সৃষ্টির প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে এই যৌথ সংস্থা। যখন গোটা বিশ্ব COVID 19 মহামারীর মারাত্মক অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, এমন সময়ে এই বিনিয়োগ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার স্থিতিশীল এবং স্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটায়।“

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদ এমপি, বলেন “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ভিশন ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নত দেশের স্বীকৃতি পেতে জ্বালানি চাহিদা পূরণে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। বেক্সিমকো এলপিজি এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের এই যৌথ উদ্যোগ আমাদের লক্ষ্য এবং অগ্রাধিকারগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।“ তিনি আরও বলেন “বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবার কারণে কয়েক বছর ধরে এলপিজি খাত উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে এবং আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এজন্যে দুইটি অভিজ্ঞ ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার মধ্যে এধরনের অংশীদারিত্ব এবং বিনিয়োগ এই শিল্পে সত্যিকারের পরিবর্তন নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ।”

ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিং বলেন, ইন্ডিয়ান অয়েল ১৯৯৯ সালে লুব্রিক্যান্ট বিপণন দিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছিল এবং আজ বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী অংশীদারের সাথে হাত মেলাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের এলপিজি বাজার গত পাঁচ বছরে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রত্যাশা করা হচ্ছে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১২ থেকে ১৩ শতাংশ বাড়বে। নতুন যৌথ সংস্থা (জেভিসি) ইন্ডিয়ান অয়েলের মূল দক্ষতা এবং বেক্সিমকোর স্থানীয় দক্ষতা থেকে শক্তি অর্জন করবে। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুসারে, সংস্থাটি বেক্সিমকোর বিদ্যমান এলপিজি সম্পদ গ্রহণের মাধ্যমে কাজ শুরু করবে। তিনি আরো বলেন, “আমাদের ইচ্ছা বাংলাদেশের গভীর নৌবন্দরে একটি বড় এলপিজি টার্মিনাল স্থাপন করা, যা খুব বড় গ্যাস ক্যারিয়ারের মাধ্যমে এলপিজি আনতে সহায়ক হবে এবং এতে করে আমদানি ব্যয় হ্রাস হবে। আমদানি ব্যয় হ্রাস বাংলাদেশের জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।“

এই যৌথ সংস্থার লক্ষ্য সবচেয়ে নিরাপদ, সহজতর এবং আধুনিক এলপিজিসুবিধা সম্বলিত গ্রাহক পরিষেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বাধিক বিশ্বস্ত, প্রশংসিত এবং প্রধানতম এলপিজি সংস্থা হয়ে ওঠা। যৌথ সংস্থা অন্যান্য আমদানিকৃত তেল ও গ্যাস ব্যবসাগুলি- লুব ব্লেন্ডিং প্ল্যান্ট, এলএনজি, পেট্রোকেমিক্যালস, পাইপলাইনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে এলপিজি রপ্তানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদিতেও বৈচিত্র্য আনতে চায়।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি এখানে সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ উপস্থিত ছিলেন।

নাগাল পেলেই ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করবে ইরান, পরোয়ানা জারি, সাহায্য চেয়েছে ইন্টারপোলের

0

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাগে পেলেই গ্রেপ্তার করে ফেলবে ইরান। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এমন প্রস্তুতিই রাখছে ইরান। ট্রাম্পের নাগাল পেতে ইন্টারপোলের সাহায্যও চেয়েছে তেহরান। খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরানি সেনা কমান্ডার কাশেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করার দায়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু ট্রাম্প নন, সেই সঙ্গে আরও ৩০ জনকে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করেছে ইরান। তাদেরও আটক করতে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সোমবার তেহরানের প্রসিকিউটার আলি আলকাসিমের জানান, জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতএব, তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ট্রাম্পকে আটক করতে তাঁরা উঠেপড়ে লাগবেন বলেই জানিয়েছেন আলি।
ইতিমধ্যেই ইন্টারপোলকে ‘রেড নোটিস’ জারির অনুরোধ জানিয়েছে ইরান। ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে এ বিষয়ে একটি গোপন বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছে। যদিও ওই আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থার তরফে কোনও উত্তর এখনও আসেনি।