ঢাকা   শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১   বিকাল ৫:৪১ 

Home Blog Page 5

আরও ক্ষমতাধর হলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

0

চীনে নতুন একটি আইন আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে যাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আরো ক্ষমতাবান করে দিচ্ছে। এই আইনে বিদেশিদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। নতুন এই আইনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট শি আরো ক্ষমতা পেলেন এবং তাকে পশ্চিমাবিরোধী আরো ক্ষমতা দেয়া হলো। বৃহস্পতিবার এই আইনটি পাস করেছে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শি জিনপিং এই আইনে বিপুল পরিমাণ ক্ষমতার অধিকারী হবেন। নতুন এই আইনে চীনের স্বার্থের ক্ষতি করে এমন যেকোনো এনটিটিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে চীন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সীমালংঘন হবে তা এতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
এর ফলে বিশ্বজুড়ে বেইজিংয়ের স্বার্থবিরোধী যে কোন উদ্যোগের বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নিতে পারবেন। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, হংকং এবং সিনজিয়াং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেয়া চীন বিরোধী পদক্ষেপকে কাউন্টারি দিতে ব্যবহার করা হবে এই আইন।
এতে বলা হয়েছে, চীনা নাগরিক বা তাদের কোনো এনটিটির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নিলে বা নেয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তি বা এনটিটিকে ‘এন্টি স্যাংশন লিস্টে’ নাম তোলা হবে। যারা এই তালিকায় থাকবেন তারা চীনে প্রবেশ করতে পারবেন না অথবা তারা চীনে থাকলে বহিষ্কার করা হবে। চীনের ভিতরে থাকা তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। চীনের কোনো এনটিটি বা নাগরিকের সঙ্গে তাদের ব্যবসায় বিধিনিষধ দেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আইনই বলে দিচ্ছে চীন এখন কতটা আগ্রাসী কূটনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া নতুন আইন ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হলেও তা কতটা সক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। করোনা পরবর্তী সময়ে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে চীন। এমন সময়ে এ রকম একটি আইন করে শি জিনপিংকে আরও শক্তিশালী করা হলো।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইনের প্রফেসর জ্যাক ডিলাইসলে বলেন, এই আইনটি তুলনামূলকভাবে বাক সর্বস্ব এবং যথেষ্ট পরিচিত। তবে এর মধ্যে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক নীতিগত বিষয় রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী অবস্থানের কথা বলা হয়েছে এতে।
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম দ্য গ্লোবাল টাইমস বলছে, পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এই আইন। কার্নেই চায়না-এর নন রেসিডেন্সিয়াল স্কলার ডক্টর চোং জা-লান বলেন, এটা হল চীন কোন প্রবণতার দিকে অবস্থান নেবে তার একটি ইঙ্গিত। ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তক্ষশীলা ইনস্টিটিউশনে চায়না স্টাডিজ প্রোগ্রামের নেতৃত্বদানকারী মনোজ কেওয়ালরামানি বলেছেন, চীনের নেতারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য অন্তর্নিহিত উত্তেজনা বোধ করেন।
বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে দুই সুপারপাওয়ার একে অন্যের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কোম্পানির স্থানীয় অফিস বন্ধ করে দিয়ে পশ্চিমা বিরোধী ধারাবাহিক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। ব্যাপকভাবে এটাকে দেখা হচ্ছে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধের পাল্টা হিসেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রো থেকে তৈরি করা পণ্যগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চীন।

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমজাদ মোল্লাসহ ৪ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

0

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।
রোববার (২৫ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন। এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে এক নম্বর অভিযোগে একজনকে, দুই নম্বর অভিযোগে তিনজনকে এবং চার ও পাঁচ নম্বর অভিযোগে চারজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত ১১ মে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আসামিরা হলেন মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি চারজন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছেন।
প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়েছে, মামলায় চার আসামির মধ্যে আমজাদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। বাকি তিনজন পলাতক। আগে মামলায় মোট আসামি ছিলেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়, ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল তা শেষ হয়। যশোর জেলা প্রশাসকের দেয়া রাজাকারদের তালিকাতেও আসামিদের নাম রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো হলো অভিযোগ-১, ১৯৭১ সালের ৩ ভাদ্র দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঘারপাড়া থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়নাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা। সেখানে তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে ৬ ভাদ্র দুপুর ১২টার দিকে খুড়দা গ্রামের বিজয় দাশের দেবদারু বাগানে কুয়ার পাশে দাঁড় করিয়ে ময়নাকে গুলি করে হত্যা করে মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা।
অভিযোগ-২, ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই দুপুর ১টার দিকে আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা বাঘারপাড়া খাজুরা বাজার থেকে ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে আটক করে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুর ১২টায় তাকে থানা সদরের মহিরাম গ্রামের মাঠে গুলি করে করে হত্যা করা হয়।
অভিযোগ-৩, আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা ১৯৭১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮-৯টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে ধরে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে খুড়দা গ্রামের বিজয় দাশের দেবদারু বাগানে কুয়ার পাশে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ কুয়ায় ফেলে দেয়। সূত্র-কালবেলা।

জি কে শামীমের অর্থ পাচার মামলার রায় পিছিয়ে ১৭ জুলাই

0

ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত ‘প্রভাবশালী’ ঠিকাদার জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে। রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (২৫ জুন)ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন বিচারক।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর একই আদালত এই মামলায় জি কে শামীম এবং তার ৭ দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।সূত্র – স্টার অনলাইন।

ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা, সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছাল

0

২০২১ সালের মে মাসে ব্যবসায়ী শাহিনউদ্দিন হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৬ আগস্ট নাগাদ জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০২১ সালের ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে নিহতের ৭ বছর বয়সী ছেলের সামনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডটি গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর পরিদর্শক মো. মনির হোসেন এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় মহানগর হাকিম তাহমিনা হক এ আদেশ দেন।
এবারের ঘটনাসহ পিবিআই মোট ১৩ বার এ মামলার পরবর্তী তদন্ত শেষ করার জন্য বাড়তি সময় নিয়েছে।
গত বছরের ১২ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নিহতের মা আকলিমা বেগম অনাস্থা আবেদন করলে ঢাকার অপর ১টি আদালত পিবিআইকে পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ দেন।
প্রায় ৯ মাস তদন্ত শেষে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত ব্যবসায়ীকে আউয়ালের নির্দেশে হত্যা করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও ১৪ জন জড়িত ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ থেকে ১৩ আসামির নাম বাদ দিয়ে বলেন, তদন্তের সময় অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
আসামিদের মধ্যে আউয়ালসহ ১৩ জন জামিনে মুক্ত আছেন। মো. মুরাদ হোসেন ও তরিকুল ইসলাম ইমন কারাগারে রয়েছেন।সূত্র- স্টার অনলাইন।

বাংলাদেশ কখনো বাইরের হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করবে না : প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কখনোই বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করবে না।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তার অফিসে আয়োজিত বিশেষ দরবার (সমাবেশ) অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা কারো হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করব না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।’
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশ অর্জন করেছি।’
বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সাথে বৈরিতা নয়’ নীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গুরুত্বপূর্ণদের সাথে বন্ধুত্ব করতে কাজ করছে। দেশের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা করছে। তিনি বলেন, অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বারবার প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছে, কিন্তু সফলতার সাথে সেগুলো কাটিয়ে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ এখনও অনেক বাধা এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। কারণ একটি দেশ যখন দ্রুত অগ্রগতি করে, তখন অনেকেই তা সহ্য করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ঝামেলা শুরু করে।’
একটি স্বাধীন ও বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দেশের সকল মানুষকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো (বাধা-বিপত্তি) নিয়ে বিচলিত হওয়র কিছু নেই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মজিবুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এসএসএফ এবং এর কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মেজর জেনারেল মোঃ মজিবুর রহমান সংকলিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭৫টি বাণী সম্বলিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর উক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
১৯৮৬ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর ১৯৯১ সালে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামে নামকরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপতি যেখানেই থাকুন না কেন এবং ভিআইপি, রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান বা সরকার কর্তৃক ভিআইপি হিসাবে ঘোষিত যে কোনও ব্যক্তিসহ উভয় ভিআইপিকেই ‘শারীরিক নিরাপত্তা’ প্রদানের উদ্দেশ্যে এই বাহিনী গঠন করা হয়।
সংসদীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর এটির প্রাথমিক কাজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য ভিআইপিদের সুরক্ষা দেয়া।

আধুনিক প্রযুক্তির কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অপব্যবহার রোধে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নজর দেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে- যাতে এই প্রযুক্তি দেশের মানুষের ক্ষতি করতে না পারে।
প্রযুক্তি অনেক আশঙ্কা তৈরি করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরণেরও পরিবর্তন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য এসএসএফ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের সঠিক নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ দিনে দিনে উন্নতি করতে থাকবে।
এসএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে শেখ হাসিনা বাহিনীর শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও পেশাদারিত্বের দিক থেকে একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনীতে পরিণত হবে বলে আশা করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়, সমুদ্র সীমানা নিয়ে বিরোধ মিমাংসা এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের পাশাপাশি একই দিনে ১০০টি সেতু ও ১০০ সড়ক উদ্বোধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের সফল্য তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা বিশ্বব্যাংক উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। কারণ এ ব্যাপারে তাঁর সরকারের কোন দুর্বলতা ছিল না।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ সক্ষমতা দেখিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবার কাছে সম্মান পাচ্ছে।বাসস।

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি : দুদকের মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৮ আগস্ট

0

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৮ জুলাই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাসুজ্জামান নতুন এ দিন ধার্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার) এস কে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউ জার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা নিয়েছেন, তা বিদেশে পাচার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়।
এরআগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর আরেকটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। এরমধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে, দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানা দাখিলে হাইকোর্টের নির্দেশ

0

দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম ও ঠিকানা আদালতে দাখিল করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মাদক কারবারের জেরে দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ১৩ জুন একটি আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাচারের মাধ্যমে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে, সুইস ব্যাংকে গোপনে জমা রাখা বিপুল অর্থ উদ্ধারে অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আউনজীবী সুবীর নন্দী দাসসহ সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে ১১ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনসহ এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।
দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। দুদক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ দেয়া হয়।

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে : আইনমন্ত্রী

0

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলা তদন্ত শেষে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
রবিবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ‘১৫১তম রিফ্রেশার কোর্স’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এ মৃত্যুর জ ন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আশ্বস্ত করতে পারি এই বলে, তদন্ত শেষ হওয়ার পর এই মামলা ন্যায়বিচারের জন্য অবশ্যই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
বিচার বিভাগ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আনিসুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার কখনও বিচার বিভাগ দলীয়করণ করেনি। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে এরপর বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তারা বিচার বিভাগ দলীয়করণ করেছে।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান প্রমুখ।

দুই অস্থায়ী বিচারপতিকে স্থায়ী না করার বিষয়টি আপিল বিভাগও স্পষ্ট করলেন না, পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি

0

প্রধান বিচারপতির সুপারিশ থাকা সত্বেও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক দুইজন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী না করার বিষয়টি আপিল বিভাগও স্পষ্ট করলেন না।
আজ (১৪ জুন) আপিল বিভাগের ৭ জন বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল শুনানি শেষে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে নিস্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু পর্যবেক্ষণে কি বলা হয়েছে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি না পেলে তা জানা যাবে না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।
উল্লেখ্য হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় পৃথক ভাবে দুটি রিট করেন সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলী। হাইকোর্টে আলাদা আলাদা সময়ে রিট দুটির শুনানি হয়। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন এবং আপিল দুটি একসঙ্গে শুনানি হয়।
আপিল বিভাগের বিচারপতি নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। বেঞ্চে অন্য বিচারপতিদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন,বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো: আবু জাফর সিদ্দকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ জানা যাবে।
যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর আপিল মঞ্জুর করেনি, তাই তারা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরতে পারবেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ফরিদ আহমেদ শিবলীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগ আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর আপিল খারিজ করেনি, তাই এই মুহূর্তে এটা বলা যাবে না যে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ না দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলতাফ ও শিবলী সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাদের দায়িত্ব ফিরে পাবেন, যা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিতে পাওয়া যাবে।
২০১৪ সালের জুনে সরকার আলতাফ হোসেনকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের অতিরিক্ত পাঁচ জন বিচারককে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়। আলতাফ হোসেন তার চাকরি নিয়মিত না করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের দুই বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ১০ জন বিচারকের মধ্যে শিবলীও ছিলেন। তবে তাকেও নিয়মিত করা হয়নি।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

0

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিনের নেতৃত্বে ১২-সদস্যের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ‘আইনজীবীরা সমাজের অত্যন্ত সচেতন নাগরিক…বার ও বেঞ্চের সমন্বয়ের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব’।
তিনি বার কাউন্সিলের প্রতিটি সদস্যকে তাদের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যোগ্য ও মেধাবীরাই যাতে বার কাউন্সিলের সদস্য হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কেননা এর ফলে বিচার বিভাগ সুফল ভোগ করবে।
বার কাউন্সিলকে আইনজীবীদের পার্লামেন্ট উল্লেখ করে এই কাউন্সিলের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার ও আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, তারা বার কাউন্সিলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রতিনিধি দল করোনাকালে আইনজীবীদের জন্য গৃহীত সহায়তার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তুলে ধরেন।
এ সময় বঙ্গভবনের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। বাসস।