ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১   ভোর ৫:৩৬ 

সর্বশেষ সংবাদ

দুই অস্থায়ী বিচারপতিকে স্থায়ী না করার বিষয়টি আপিল বিভাগও স্পষ্ট করলেন না, পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি

প্রধান বিচারপতির সুপারিশ থাকা সত্বেও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক দুইজন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী না করার বিষয়টি আপিল বিভাগও স্পষ্ট করলেন না।
আজ (১৪ জুন) আপিল বিভাগের ৭ জন বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল শুনানি শেষে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে নিস্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু পর্যবেক্ষণে কি বলা হয়েছে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি না পেলে তা জানা যাবে না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।
উল্লেখ্য হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় পৃথক ভাবে দুটি রিট করেন সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলী। হাইকোর্টে আলাদা আলাদা সময়ে রিট দুটির শুনানি হয়। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন এবং আপিল দুটি একসঙ্গে শুনানি হয়।
আপিল বিভাগের বিচারপতি নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয়। বেঞ্চে অন্য বিচারপতিদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন,বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো: আবু জাফর সিদ্দকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ জানা যাবে।
যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর আপিল মঞ্জুর করেনি, তাই তারা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ফিরতে পারবেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ফরিদ আহমেদ শিবলীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগ আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীর আপিল খারিজ করেনি, তাই এই মুহূর্তে এটা বলা যাবে না যে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ না দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলতাফ ও শিবলী সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তাদের দায়িত্ব ফিরে পাবেন, যা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিতে পাওয়া যাবে।
২০১৪ সালের জুনে সরকার আলতাফ হোসেনকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের অতিরিক্ত পাঁচ জন বিচারককে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়। আলতাফ হোসেন তার চাকরি নিয়মিত না করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের দুই বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ১০ জন বিচারকের মধ্যে শিবলীও ছিলেন। তবে তাকেও নিয়মিত করা হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত