ঢাকা   শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১   রাত ১:১০ 

Home Blog Page 4

বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা : অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৬ আগস্ট

0

ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন। ডিবির সহকারি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন মামলাটির অধিকতর তদন্ত করবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সর্বশেষ একই বছরের ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, এদের মধ্যে সাক্ষি ড. বদিউল আলম মজুমদার, খুশি বেগম ও মাহবুবুল আলম মজুমদার তাদের জবানবন্দিতে জনৈক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন। এরপর ২৭ ডিসেম্বর আদালত এ মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠান।
মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদি হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার চার্জশিটে ১৯ জনকে সাক্ষি করা হয়। ২০২২ সালের ১ মার্চ ৯ আসামির বিরুদ্ধে দন্ডিবিধির ১৪৩/৩২৩/৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলার চার্জশিটভূক্তরা হলেন, নাইমুল হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, মো. সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহিদুল আলম খান কাজল, তান্না ওরফে তানহা ওরফে মুজাহিদ আজমি তান্না, সিয়াম ও অলি আহমেদ ওরফে জনি।
চার্জশিটে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট রাতে সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের ইকবাল রোডের বাড়িতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের বিদায়ী নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। ওই রাতে নৈশভোজের নামে বদিউল আলম গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে খবর পান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এরপর আনুমানিক রাত ১১টায় ছাত্রলীগের নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি দল ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা মার্সা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া করলে রাষ্ট্রদূত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এসময় সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তারা বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে বদিউল আলম, তার স্ত্রী ও ছেলে মাহবুব মজুমদারকে জীবননাশের হুমকি দেন। মাহবুবকে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করেন। বাড়ির প্রধান গেট ধাক্কাধাক্কি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যান। বাসস।

অবাস্তব দাবি নিয়ে সংলাপ হবে না: আইনমন্ত্রী

0

অবাস্তব কোনো দাবি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। অবাস্তব কোনো দাবি নিয়ে সংলাপ হবে না।এর আগে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে আইনমন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হবে। কারণ জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া একটি সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। বিশ্ব ইতিহাসও বলে, যে জাতি যত বেশি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছে, সে জাতি তত উন্নতি লাভ করতে পেরেছে। তাই জ্ঞান ও দক্ষতাই শক্তি এবং জ্ঞান ও দক্ষতাই সুপার পাওয়ার- এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক মানব সম্পদ গড়ে তুলতে শুরু থেকেই শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলে দেশের সকল সেক্টরে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের পরিধি যেমন প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের উৎপাদন ও সেবা খাতে।
তিনি বলেন, সরকারের যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই এখন বিচারক তথা বিচার বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতা অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে, যার সুফল আমরা ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছি।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নব্য বিশ্বায়নের যুগে প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হলে বিচারকদের সবসময় নতুন নতুন আইন, জুডিসিয়াল ডিসিশন, পরিবর্তিত কর্মপরিধি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে হালনাগাদ থাকতে হবে। জ্ঞান, দক্ষতা ও সামর্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়িয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কেননা স্বল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা বিচারকদের অন্যতম দায়িত্ব। তাছাড়া বিচার প্রশাসনে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করাও বিচারকদের দায়িত্ব। এসব ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার প্রশিক্ষণ।
আনিসুল হক আরও বলেন, প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন বিচারক একবার প্রশিক্ষণ নিয়ে সারা জীবন বিচারকাজ করবেন, এমনটি হওয়া উচিত নয়। সেজন্যই বিচারকদের দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, যার যাত্রা শুরু করা হয় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে। নবীন বিচারকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুই সাবরেজিষ্ট্রারের সাক্ষ্য

0

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দু’জন সাবরেজিস্ট্রার সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন, গুলশান জোনের সাবেক সাবরেজিস্ট্রার মো. ইয়াবকুব ও বগুড়ার সাবেক সাবরেজিস্ট্রার আফতাব উদ্দিন।
রোববার (৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ জুলাই দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জনের মধ্যে ৩৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। পরে ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেয়া হয়।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

খালেদ মোশাররফ, হায়দার ও হুদা হত্যার তদন্তে সিআইডি

0

পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর মামলাটি সিআইডির মাধ্যমে তদন্তের আদেশ হওয়ায় থানা পুলিশ সব নথিপত্র বুঝিয়ে দিয়েছে।
গত সপ্তাহে এ মামলার তদন্তভার পাওয়ার কথা জানিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন জানান, “চার পাঁচদিন হল নথি হাতে এসেছে, এখন আমরা স্টাডি করছি। পারবর্তীতে আমরা তদন্তে ঢুকব।”
হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ দশক পর কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান গত ১০ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন।
এজাহারে তিনি লেখেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ‘সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে’ নিহত হন তার বাবা কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, যিনি তখন সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার।
মুক্তিযুদ্ধের দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তমকেও একই সময়ে হত্যা করা হয়।
নাহিদ ইজাহার খান তার মামলায় বলেন, সেই সময়ের সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান এবং জাসদ নেতা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহেরের নির্দেশে ২০-২৫ জন সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকের একটি দল নাজমুল হুদাসহ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কেবল ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাবেক মেজর আব্দুল জলিল জীবিত আছেন জানিয়ে তাকেই মামলার এজাহারে আসামি করা হয়। তবে জলিলের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় তদন্ত সংস্থা।
তার বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন “আমরা সব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত শুরু করব।”
মামলার নথি আদালতে যাওয়ার পর মহানগর হাকিম রশিদুল আলম তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশকে ১২ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন।
তবে তদন্ত কর্মকর্তা তা দিতে না পারায় ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার আগামী ২০ জুলাই নতুন তারিখ ঠিক করেছেন।
কী ঘটেছিল সে সময়
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতায় বসলেও চলছিল অস্থিরতা। এর মধ্যেই ৩ নভেম্বর সেনা কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়, গৃহবন্দি করা হয় সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে।
৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান হয় সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা আবু তাহেরের নেতৃত্বে। তখন মুক্ত হন জিয়া; নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ তার সঙ্গীরা।
জিয়ার গড়া দল বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ওই দিনটি ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে; তাহেরের দল জাসদ পালন করে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে; ‘মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আওয়ামী বলয়ের সংগঠনগুলো।
৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়া, যিনি মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। পরে তিনি সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপ্রধানও হন।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার তাহেরসহ ১৭ জনকে সামরিক আদালতে গোপন বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ভোরে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৮২ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সেনাবিদ্রোহে নিহত হন। পরে উচ্চ আদালতের এক রায়ে জিয়ার সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, কারাগারে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়। আর কয়েকটি রিট মামলার রায়ে হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, কর্নেল আবু তাহেরের গোপন বিচার ছিল অবৈধ। তাহের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার; আর এর পরিকল্পনাকারী ছিলেন জিয়াউর রহমান।
কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে খালেদ মোশাররফ, এ টি এম হায়দার এবং নাজমুল হুদার হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি, যা নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের আক্ষেপ ছিল।
যা আছে এজাহারে
নাহিদ ইজাহার মামলায় বলেছেন, ১৯৭৫ সালে তার বাবাকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তার বয়স মোটে ৫ বছর, তার বড় ভাইয়ের বয়স ৮ বছর।
“তখন আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭২ বিশেষ কমান্ডার, রংপুর, কর্মরত অবস্থায় ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে নিহত (শহীদ) হন। তার সাথে অপর দুই সেক্টর কমান্ডার শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তম এবং শহীদ লে. কর্নেল এ টি এম হায়দার, বীর-উত্তমও নিহত (শহীদ) হন।”
মামলায় বলা হয়, “পরবর্তীতে আমরা বড় হয়ে বাবার কোর্সমেট, কলিগ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে নিজেদের অনুসন্ধানে জানতে পারি, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকাল বেলা বাবাসহ অপর দুই সামরিক কর্মকর্তা ১০ নম্বর ইস্ট বেঙ্গলের অফিসে উপস্থিত ছিলেন, যেটি তখন জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলে অবস্থান করছিল। ভোরবেলা বাবারা নাশতা করা অবস্থায় দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারি থেকে একটি টেলিফোন আসে দশম ইস্ট বেঙ্গলের সিও লে. কর্নেল নওয়াজেশের কাছে। এরপর বাবাসহ অপর দুই সামরিক কর্মকর্তাকে বাইরে নিয়ে আসেন দশম ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তারা।
“আমাদের অনুসন্ধানে আমরা আরও জানতে পারি, তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জাসদের নেতা লে. কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নির্দেশে ১০ ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তা মৃত মেজর মো. আসাদুজ্জামান (অব.) এবং মেজর মো. আব্দুল জলিল (অব.), দশম ইস্ট বেঙ্গলের অপরাপর কর্মকর্তারা, জেসিও ও সৈনিকরা মিলে আনুমানিক ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা সংঘবদ্ধভাবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেলের মাঠে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে আমার বাবাসহ উল্লেখিত অপর দুই সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করে।
“মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করার পর বেয়নেট চার্জ করা হয়। উক্ত হত্যাকাণ্ডের সময় ১০ ইস্ট বেঙ্গলের কর্মকর্তা লে. কর্নেল সিরাজ (তৎকালীন ক্যাপ্টেন) ও মেজর মুকতাদির, সাবেক পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান (তৎকালীন ক্যাপ্টেন) ঘটনাস্থলে চাক্ষুস সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।”
মামলায় আসাদুজ্জামান ও আব্দুল জলিলের বাসার ঠিকানা, সেনাবাহিনীর নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধে বাবা যোগদান করেন এবং সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন যশোর ৮ নম্বর সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টর কমান্ডার। তার সরাসরি নেতৃত্বে পরিচালিত বিখ্যাত গরিবপুরের ট্যাংক যুদ্ধ, চৌগাছা যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরাজিত হয়েছিল এবং ৬ ডিসেম্বর বাবার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসাবে যশোর মুক্ত হয়। আমাদের জন্য সময়টা এতটাই প্রতিকূল ছিল যে, একবার ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কাছে আমার ভাই গিয়েছিল বাবার নামে রাস্তার নামকরণের জন্য। তখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছিল। তিনি ভাইয়ের আবেদনপত্র হাতে নিয়ে আমার বাবার নাম দেখে ভাইকে তার অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেন।”
নাহিদ ইজাহার মামলায় আরও বলেছেন, “বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় আছে। সকল দেশবাসী ন্যায়বিচার পাচ্ছে। তাই আমি আমার বাবাসহ তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক কর্মকর্তা হত্যার বিচার দাবি করছি। এমতাবস্থায়, এই তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।” বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ড. ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন

0

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে এ আবেদন করেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে এ আবেদন করা হয় বলে জানান এডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
আবেদনে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করছেন ড. ইউনূস। তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন।
গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন-এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
গত ৮মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১৭ আগস্ট মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। বাসস।

অবৈধ সম্পদ: ক্যাসিনো সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৮ আগস্ট

0

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল আলমের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেয়ার পর তার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। এছাড়া তার আইনজীবী স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগি তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

গৃহকর্মীদের ধর্ষণের দায়ে উপসচিব বরখাস্ত

0

জনপ্রশাসনের উপসচিব মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই উপসচিব সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় একাধিক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয় । তাঁকে বরখাস্ত করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিসিএস ২১ ব্যাচের এ কর্মকর্তা চাকরি সংক্রান্ত কোনো সুযোগ–সুবিধা পাবেন না।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থানকালে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কয়েকজন গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের তদন্তে প্রমাণিত হয়। এরপর মেহেদী হাসানকে ওই দূতাবাস থেকে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রত্যাহার ও একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২১ মার্চ অভিযোগ বিবরণী জারির মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানি এবং দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও কোনোবারেই এ উপসচিব সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে গুরুদণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) পরামর্শ চায়। পিএসসি এ দণ্ডের সঙ্গে একমত পোষণ করলে সেটা রাষ্ট্রপতির মতামতের জন্য পাঠানো হলে সেখানেও অনুমোদন পায়। এরপরই বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘তদন্তে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় গৃহকর্মীকে অপ্রয়োজনীয় একান্ত সাক্ষাৎকারের নামে অশ্লীল প্রশ্ন ও আচরণসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা এবং যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।’

রোহিঙ্গা নিপীড়নের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইসিসি প্রসিকিউটরের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

0

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গা নিপীড়নের মামলা শিগগিরই নিষ্পত্তি করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ ‘বিচার বিলম্বিত হলে ন্যায়বিচার থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়।’
সফররত আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ এ খান মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, এই মামলাটি যেন দীর্ঘায়িত না হয় … যত তাড়াতাড়ি এটি শেষ হবে রোহিঙ্গাদের জন্য তা ভালো হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আইসিসির কাছে যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তি করার বিষয়ে প্রসিকিউটরকে আরো চেষ্টা বা প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
মোমেন বলেন, প্রসিকিউটর জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলা

দেশ সরকারের কাছে আরও তথ্য চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলি শেয়ার করব (তথ্য)… আমাদের তথ্য না দেয়ার কোন কারণ নেই।’
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী বৈঠকে বিশ্বজুড়ে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইসিসির কাজের প্রশংসা করেন ।
মোমেন আইসিসির প্রসিকিউটরের অফিসকে ‘বাংলাদেশ/মিয়ানমার (রোহিঙ্গা মামলা) পরিস্থিতি তদন্তের বিষয়ে’ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আইসিসির রোহিঙ্গা মামলার বিষয়ে আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এএ খান ৪-৭ জুলাই পর্যন্ত চার দিনের সফরে এখানে রয়েছেন।বাসস।

হলি আর্টিজান মামলা: হাই কোর্টে শুনানি শেষের অপেক্ষা

0

ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সাতজনের ফাঁসির রায় দেয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর সাড়ে তিন বছর গড়ালেও হাই কোর্টে আসামিদের আপিল শুনানি এখনও শেষ হয়নি।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, চলতি জুলাই মাসে সম্ভব না হলেও অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শুনানি শেষ হতে পারে।
নজিরবিহীন ওই হামলার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনের ফাঁসির রায় দেয় এবং একজন খালাস পায়।
দণ্ডিত সাতজন হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
নিয়ম অনুযায়ী ওই রায় কার্যকরের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে ডেথ রেফারেন্স আকারে নথি পাঠানো হয়। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে চারজন আপিল করেন, এছাড়া তিনটি জেল আপিল হয়।
মামলাটির বিচারে গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সেই বেঞ্চে গত ৩ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত চারটি তারিখে শুনানি হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত আছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়া এই কৌঁসুলি বলেন, ইতিমধ্যে মামলার পেপারবুক (রায়সহ যাবতীয় নথি) থেকে পড়ে শোনানো শেষ হয়েছে। দণ্ডিত তিনজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দেয়া হয়েছে। আসামিদের একজনের পক্ষে শুনানিও শেষ হয়েছে।
“আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি খণ্ডনের পর আবারো রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করবেন। এ মাসে না পারলেও আসামি মাসের শুরুতে শুনানি শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।”
বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে।
পাঁচ তরুণ জঙ্গি রোজার ঈদের এক সপ্তাহ আগে পিস্তল, সাব মেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়েছিল সেই রেস্তোরাঁয়।
তারা জবাই ও গুলি চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমান্ডো অভিযানে ওই জঙ্গিদের হত্যা করা হয়।

গুলশান হামলার পর জঙ্গি দমন অভিযান গতি পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে অনেক জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি শীর্ষনেতাদের প্রায় সবাই মারা যান।
ওই হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় রায়ে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আদালত সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তবে একজন খালাস পান রায়ে।
রায় ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার ডেথ রেফারেন্স ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত থেকে হাই কোর্টে আসে। হাই কোর্টের ডেসপাস (আদান-প্রদান) শাখা সেগুলো গ্রহণ করে পাঠায় ডেথ রেফারেন্স শাখায়।
পেপারবুক শাখা সেসব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে নথিসহ রায়ের অনুলিপি ও আনুসঙ্গিক নথিপত্র পেপারবুক তৈরির জন্য ফেব্রুয়ারিতে বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেয়।
পাঁচ মাসের মাথায় ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট সে পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে। ততদিনে দেশ করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে পড়ে। শুনানি শুরু হতে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায়ে নব্য জেএমবির সাত সদস্যকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(অ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছিলেন। আরও দুটি ধারায় তাদের কয়েকজনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড।
মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়ে বিচারক তার রায়ে বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে আসামিরা ‘জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ’ ঘটিয়েছে। সাজার ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা আসামি মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয় রায়ে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

সফট ড্রিংকসে আসক্ত? অজান্তেই ডেকে আনছেন ক্যানসার!

0

আপনি কি সফট ড্রিংকসে আসক্ত? সুযোগ পেলেই চুমুক দেন রঙিন জলে! জানেন কি, আপনি অজান্তেই ডেকে আনছেন মারণ রোগ ক্যানসার। কারণ আপনার শরীরে প্রবেশ করছে অ্যাসপার্টেম । আর্টিফিসিয়াল সুইটনার্স হিসেবে সারা বিশ্বে অত্যন্ত প্রচলিত এই ড্রাগ। মার্কিন মুলুকের নতুন গবেষণা বলছে, অ্যাসপার্টেম ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অ্যাসপার্টেমের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, ডব্লিউএইচও-র ক্যানসার রিসার্চ সংস্থা আগামী মাসেই ঘোষণা করবে যে, অ্যাসপার্টেমে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে যে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে এফডিএ, ১৯৮১ সালেই অ্যাসপার্টেমকে মানুষের ব্যবহারের যোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে ভারতসহ বিশ্বের ৯০টি দেশে পাঁচবার এর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করেই অনুমোদন দিয়েছে। অ্যাসপার্টেমে কোনও ক্যালোরি নেই। আখ ও বিট থেকে প্রাপ্ত শর্করা সুক্রোজ বা টেবল সুগারের থেকেও ২০০ গুণ মিষ্টি অ্যাসপার্টেম। ২০০৯ সালে ইন্ডিয়া’স ফুড সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন বডি এফএসএসএআই খাদ্য পণ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় অ্যাসপার্টেম ব্যবহারের সুপারিশ করেছিল। ৯৫ শতাংশ কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকসে রয়েছে অ্যাসপার্টেম। এর পাশাপাশি ৯০ শতাংশ রেডি-টু-ড্রিংকে থাকে অ্যাসপার্টেম। এফএসএসএআই জানিয়ে দিয়েছিল যে, অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করলে তা স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে পণ্যের উপরে।
মার্কিন মুলুকে আমেরিকান বেভারেজ অ্যাসোসিয়েশন যাঁরা কোকা-কোলা ও পেপসি কো-র মতো প্রথমসারির পানীয় সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। তারা এফডি-এর স্ক্রুটিনিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ কেভিন কেন ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ‘বৈজ্ঞানিক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে অ্যাসপার্টম নিরাপদ। খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বারবার এই বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে। ঘটানচক্রে এফডিএ সহ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অ্যাসপার্টম নিরাপদ বলেই জানাচ্ছে। যা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। সারা বিশ্বের মানুষেরও এই বিষয়ে অবগত থাকা উচিত।’ আর্টিফিসিয়াল সুইটনারের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত বছর ফ্রান্সে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাতে দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা বেশি পরিমাণে কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ করেছে, তঁরা বিশেষ করে অ্যাসপার্টম এবং অ্যাকেসুলফেম-কে গ্রহণ করেছে। তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা বেশিই ছিল। এই পরীক্ষা ১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসা ইতিহাস ঘেঁটে তৈরি করা হয়েছিল। সৌজন্যে- জি ২৪ ঘন্টা।