আপনি কি সফট ড্রিংকসে আসক্ত? সুযোগ পেলেই চুমুক দেন রঙিন জলে! জানেন কি, আপনি অজান্তেই ডেকে আনছেন মারণ রোগ ক্যানসার। কারণ আপনার শরীরে প্রবেশ করছে অ্যাসপার্টেম । আর্টিফিসিয়াল সুইটনার্স হিসেবে সারা বিশ্বে অত্যন্ত প্রচলিত এই ড্রাগ। মার্কিন মুলুকের নতুন গবেষণা বলছে, অ্যাসপার্টেম ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অ্যাসপার্টেমের ব্যাপারে আগেই সতর্ক করেছিল। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, ডব্লিউএইচও-র ক্যানসার রিসার্চ সংস্থা আগামী মাসেই ঘোষণা করবে যে, অ্যাসপার্টেমে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে যে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ওরফে এফডিএ, ১৯৮১ সালেই অ্যাসপার্টেমকে মানুষের ব্যবহারের যোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে ভারতসহ বিশ্বের ৯০টি দেশে পাঁচবার এর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করেই অনুমোদন দিয়েছে। অ্যাসপার্টেমে কোনও ক্যালোরি নেই। আখ ও বিট থেকে প্রাপ্ত শর্করা সুক্রোজ বা টেবল সুগারের থেকেও ২০০ গুণ মিষ্টি অ্যাসপার্টেম। ২০০৯ সালে ইন্ডিয়া’স ফুড সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন বডি এফএসএসএআই খাদ্য পণ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় অ্যাসপার্টেম ব্যবহারের সুপারিশ করেছিল। ৯৫ শতাংশ কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকসে রয়েছে অ্যাসপার্টেম। এর পাশাপাশি ৯০ শতাংশ রেডি-টু-ড্রিংকে থাকে অ্যাসপার্টেম। এফএসএসএআই জানিয়ে দিয়েছিল যে, অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করলে তা স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে পণ্যের উপরে।
মার্কিন মুলুকে আমেরিকান বেভারেজ অ্যাসোসিয়েশন যাঁরা কোকা-কোলা ও পেপসি কো-র মতো প্রথমসারির পানীয় সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে। তারা এফডি-এর স্ক্রুটিনিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ কেভিন কেন ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ‘বৈজ্ঞানিক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে অ্যাসপার্টম নিরাপদ। খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বারবার এই বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে। ঘটানচক্রে এফডিএ সহ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অ্যাসপার্টম নিরাপদ বলেই জানাচ্ছে। যা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। সারা বিশ্বের মানুষেরও এই বিষয়ে অবগত থাকা উচিত।’ আর্টিফিসিয়াল সুইটনারের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত বছর ফ্রান্সে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যাতে দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা বেশি পরিমাণে কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ করেছে, তঁরা বিশেষ করে অ্যাসপার্টম এবং অ্যাকেসুলফেম-কে গ্রহণ করেছে। তাঁদের ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা বেশিই ছিল। এই পরীক্ষা ১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসা ইতিহাস ঘেঁটে তৈরি করা হয়েছিল। সৌজন্যে- জি ২৪ ঘন্টা।