দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম ও ঠিকানা আদালতে দাখিল করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মাদক কারবারের জেরে দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ১৩ জুন একটি আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাচারের মাধ্যমে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে, সুইস ব্যাংকে গোপনে জমা রাখা বিপুল অর্থ উদ্ধারে অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আউনজীবী সুবীর নন্দী দাসসহ সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে ১১ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনসহ এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।
দেশ থেকে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। দুদক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ দেয়া হয়।