ঢাকাকে উপহার হিসেবে ১০ টি রেল ইঞ্জিন দিচ্ছে দিল্লি। ঈদ উল আজহা উপলক্ষে ১০টি ব্রডগজ লোকোমোটিভ বা রেল ইঞ্জিন উপহার পাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতীয় রেলের দেওয়া এই ইঞ্জিনগুলো আগামী সোমবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ রেলকে হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মূলত বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই বন্ধু ঢাকাকে ঈদের উপহার হিসেবে এই ১০টি রেল ইঞ্জিন দিচ্ছে নয়াদিল্লি।
১০টি ব্রডগজ লোকোমোটিভ বা রেল ইঞ্জিন বাংলাদেশ রেলবহরে সংযুক্ত হলে রেলওয়ে আরো গতিশীল হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় রেলের দেওয়া এই ইঞ্জিনগুলো সোমবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ রেলকে হস্তান্তর করা হবে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ২৭ জুলাই দুপুর তিনটা নাগাদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের রেলমন্ত্রী এবং আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমি নিজে ভিডিও কনরফারেন্সের মাধ্যমে এ ইঞ্জিন উপহার অনুষ্ঠানে অংশ নেব। তারা দিল্লি থেকে, আর আমরা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্স করে এই ইঞ্জিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করব।” ইঞ্জিনগুলো হস্তান্তরে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ গেদে সীমান্তের ওপারে আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত বিরোধী শক্তিরগুলির উপর লাগাম টেনেছেন। বাংলাদেশের ভূমিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। একইভাবে, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে সম্প্রতি সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা, এনআরসি ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ অনেকটাই বিরক্ত। বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে চীন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে চীন। যা বাংলাদেশের জন্য এক নতুন দীগন্তের সূচনা করেছে। ভারতকে হটিয়ে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে বেইজিং। সেই চেষ্টায় সাড়াও মিলেছে । ফলে কপালে ভাজ পড়েছে দিল্লির। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি মাঠে নেমেছে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে ভারতের নয়া রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন জাদরেল কুটনীতিবিদ বিক্রম দরাইস্বামী। বর্তমানে এই পদে রয়েছেন রিভা গাঙ্গুলী দাস। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) হয়ে নয়াদিল্লি ফেরত যাবেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে ঈদের উপহার দিয়ে ঢাকাকে ফের বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে দিলো নয়াদিল্লি। ঢাকার পাশে দিল্লি যে থাকবে এটার নিশ্চয়তাও দিলো মোদি সরকার।