সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া একটি অডিও প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একটা ইনোসেন্ট কনভারসেশনকে পুঁজি বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তাদের হাতে আর কিছু নেই।’ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলছি। তিনি আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি সেগুলোর জবাব দিচ্ছি…। যারা দেউলিয়া তারাই এগুলো প্রচার করছে। অবশ্যই এটির তদন্ত হবে, এর গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং স্নেহের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ কালে আইনজীবীদের দূরাবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছেন। চেক গ্রহণ করেন বাংলাদশে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন এবং ভাইস-চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। এসময় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদলসহ বার কাউন্সিলের অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তবে রায় দেয়ার সময় বলা হয়েছিল একবার-দুইবার এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে, যদি সংসদ রাজি থাকে। কিন্তু সংসদ এটি গ্রহণ করেনি। কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে এই কেয়ারটেকার সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।’ ইসি গঠনের জন্য পছন্দের তালিকায় বিএনপির নাম না দেয়া নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যারা নাম দেয়নি তাদের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে আমি রাজি নই।’