ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০   বিকাল ৫:১৫ 

সর্বশেষ সংবাদ

হিযবুত তাহরীর ৬ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা চায় পুলিশ

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ পলাতক ৬ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে বা তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান।
এন্টি টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, বাংলাদেশে চলমান বেশকিছু উগ্রবাদী ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মধ্যে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৮টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ‘হিযবুত তাহরীর’ অন্যতম। এই সংগঠনটিকে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে একটি সমাবেশ করেন।
তাদের ভাষ্যমতে, খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান কীভাবে জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবে, খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান কীভাবে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও উন্নত অবকাঠামো নিশ্চিত করবে, খিলাফতে রাশিদাহ অতি সন্নিকটে এবং আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্র কীভাবে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করবে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। ওই সময় মো. ফয়সাল সেই অনলাইন সমাবেশে কোরআন তিলাওয়াত করেন। পরবর্তীতে আবারও ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর অনলাইনে সমাবেশ করে সংগঠনটি। সেই সমাবেশে মো. আবু জায়িদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি আজ এই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কেন?’ এই বিষয়ে প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য দেন তিনি।
আব্দুর রহমান তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেন, ‘ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং নেতৃত্বশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্রের নীতিমালা’ নিয়ে প্রায় ৩৩ মিনিট আলোকপাত করেন। পরে প্রায় ২৩ মিনিট ধরে ‘খিলাফতে রাশিদাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে বাধাসমূহ ও সেগুলো উত্তরণে জনগণের প্রতি তাদের দিকনির্দেশনা দেন মো. ইমাদুল আমিন। এদিন অনলাইন সমাবেশে কোরআন তিলাওয়াত করেন হাফিজ আল রাজি।
এন্টি টেররিজম ইউনিট আরও জানায়, এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র উগ্রবাদী কার্যক্রম প্রচারের জন্য মো. আবু জায়িদ (৩৫ থেকে ৪০), শিবলি আহম্মেদ (৪০ থেকে ৪৫), মো. ইমাদুল আমিন (৪০ থেকে ৪৩), মো. ফয়সাল (২২ থেকে ২৬), আ. রহমান (২৫ থেকে ৩০) এবং হাফিজ আল রাজি (৩০ থেকে ৩৫) এর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়। মামলার পরই আসামিরা বিভিন্ন অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।
এ বিষয়ে এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, ‘গুলশানে দায়ের হওয়া মামলার আসামিরা দেশ থেকে চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে যে কোনো মূল্যে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, ভীতি ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করে আসছে। এ ছাড়া তারা সাধারণ জনগণকে তাদের সংগঠনের প্রতি এবং উগ্রবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর পলাতক জঙ্গিদের আসল নাম, ঠিকানা শনাক্তকরণের জন্য এবং তাদেরকে আইনে সোপর্দ করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’সূত্র-দৈনিক কালবেলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত