ঢাকা   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১   ভোর ৫:১০ 

সর্বশেষ সংবাদ

এখনই পরমাণু যুদ্ধ বাধলে মারা যাবে ৫০০ কোটি মানুষ! আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের পারমাণবিক সংঘাত বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিধ্বংসী পরিণতি ডেকে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থানীয় যুদ্ধের ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে ফসলের ফলন আনুমানিক সাত শতাংশ হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষণায় এই খবর জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের ফলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে উৎপাদন ৯০ শতাংশ কমে যাবে।
পাঁচ বিলিয়ন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। কিন্তু পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এত মানুষেরই। একটি আধুনিক পারমাণবিক যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের। আর এর প্রভাবেই পাঁচ বিলিয়ন মানুষ মারা যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের ফলে বায়ুমণ্ডলে সূর্যালোক আটকানর চাদরে ফুটো হতে পারে। এরফলে হতাহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বিস্ফোরণের ফলে ঘটা মৃত্যুর পরিমাণ। রুটগার্স ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ছয়টি সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাতের পরিস্থিতির প্রভাবকে ম্যাপ করেছেন। নেচার ফুড জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষায় তারা জানিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি পূর্ণ যুদ্ধ সবথেকে খারাপ সম্ভাবনা। এই যুদ্ধ যদি হয় সেই ক্ষেত্রে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ হলে তাতে যে অগ্নিঝড় সৃষ্টি হবে তাতে বায়ুমণ্ডলে কতটা ধোঁয়া প্রবেশ করবে তার গণনার উপর ভিত্তি করে এই অনুমান করা হয়। গবেষকরা ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক রিসার্চের একটি জলবায়ু পূর্বাভাসের যন্ত্র ব্যবহার করেছেন। এর সাহাজ্যে তাঁরা বিভিন্ন দেশের প্রধান ফসলের উৎপাদনশীলতার পরিমাপ করতে পেরেছেন।
এমনকি তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের পারমাণবিক সংঘাত বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিধ্বংসী পরিণতি ডেকে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থানীয় যুদ্ধের ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে ফসলের ফলন আনুমানিক সাত শতাংশ হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষণায় এই খবর জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের ফলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে উৎপাদন ৯০ শতাংশ কমে যাবে।
গবেষকরা এই কথাও মনে করেছেন যে বর্তমানে পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত ফসল ব্যবহার করা অথবা খাদ্যের বর্জ্য হ্রাস করলে তা সংঘাতের পরের ক্ষতিপূরণ করতে পারে। তবে এর পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেছেন যে বড় আকারের যুদ্ধের পরে সঞ্চয় খুবই কম হবে।
ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে আক্রমণের পর আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের আভাস আসা শুরু হওয়ার পরে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এপ্রিল মাসে সতর্ক করেন যে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গবেষণার সহ-লেখক এবং রুটগার্স ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের জলবায়ু বিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালান রোবক বলেছেন, ‘তথ্যগুলি আমাদের একটি জিনিস বলে। আমাদের অবশ্যই একটি পারমাণবিক যুদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে বাধা দিতে হবে।’ বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত