সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৪ কোটি টাকা রাখার দায়ে চাঁদপুরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক। রোববার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
চাঁদপুর সদরের ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে কারসাজি এবং মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি করার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেলিম খানের নামে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৪ দশমিক ২১ একর (কৃষি-অকৃষি), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১০ তলা বাড়ি, ঢাকার কাকরাইলে ৪ তলা বাড়ি ও ১টি ফ্ল্যাট, ২টি জিপ গাড়ি, ৪টি ড্রেজার, ১টি শটগান, স্বর্ণালংকারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২০ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন জানান, সেলিম খানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কমিশনের অনুমোদনক্রমে তাঁর বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই শেষে সম্পদ বিবরণীতে ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ উপায়ে মোট ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের প্রমাণ মেলে। এ জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় কমিশন একটি মামলা করার অনুমতি দেয়।
এর আগে গত এপ্রিলে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।