বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ কী না এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলার একত্রে শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি রাজীব শকধের ও সি হরিশংকর আলাদা আলাদা মত দিয়েছেন। তবে আবেদনকারী হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। খবর এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন।
বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? কেন অপরাধ? এই বিষয়েই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শাকধের যা বললেন তা মানতে চাইলেন না ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সি হরিশংকর। তিনি জানালেন, ধর্ষণ আইনের ব্যতিক্রমী ধারাটি সংবিধানের পরিপন্থী নয় কোনওভাবেই। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্যের কারণেই একমাত্র এই ধরনের অভিযোগ উঠে থাকে। যাকে কখনই সেই অর্থে অপরাধ বলে গণ্য করা ঠিক নয়।
উল্লেখ্য, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে চেয়েছিল। যদিও কেন্দ্র এখনও অবধি তাদের মত দেয়নি। তবে ওই সময় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। তারপর তারা তাদের বক্তব্য জানাবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গ ওঠে কেরল হাই কোর্টে। ওই মামলায় আদালত জানায়, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ। কেরল হাই কোর্টের বিচারপতিরা জানান, ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডণীয় অপরাধ নয় বটে তবে শরীর হোক বা আত্মপরিচয় , স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না একজন স্বামী। আদালত আরও বলে, স্ত্রীর শরীরকে স্বামী যদি সম্পত্তি ভাবেন এবং জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটি বৈবাহিক ধর্ষণই।