আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে অভিনয়শিল্পী তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে করা প্রতারণার মামলায় তাদের নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি থানায় ইভ্যালির একজন গ্রাহকের করা মামলায় তারা নজরদারিতে রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। এছাড়া শবনম ফারিয়া ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা। এই অভিনয়শিল্পীদের চটকদার কথায় সাধারণ মানুষ ই ভ্যালির পণ্য কিনতে উদ্বুদ্ধ হন বলে মামলায় বলা হয়েছে।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ইভ্যালি- এমন অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামি-দামি তারকাদের। অনেকের অভিযোগ জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা। এবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাদ স্যাম রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী। তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ অন্য আসামিরা গ্রেফতার হতে পারে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।