আরব সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হাতে আটককৃত বিপুল পরিমান চীন ও রাশিয়ার তৈরী অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিলো। ইয়েমেনের বিদ্রোহী শিয়া হুতিরা ইয়েমেন সরকার ও সৌদি আরবের সঙ্গে লড়াই করছে। আর এই বিদ্রোহীদের অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে চীন ও ইরান। আর সাম্প্রতিক সময়ে যোগ দিয়েছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এমনটাই মনে করছেন।
সম্প্রতি উত্তর আরব সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাহীন একটি নৌযান থেকে রাশিয়া ও চীনের তৈরি বিপুল পরিমাণ বেআইনি অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
(আরব সাগরে মার্কিন নৌবাহিনী)
আরব সাগরে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের পক্ষ থেকে শনিবার জানিয়েছে, গাইডেড-মিসাইল যুদ্ধজাহাজ ইউএএস মন্টারি গত ৬ ও ৭ মে-তে নিয়মিত টহলের সময় এই অস্ত্রের চালান জব্দ করে। বিবৃতিতে জানায়, “জব্দ করা এসব অস্ত্রের মধ্যে রাশিয়ার তৈরি কয়েক ডজন ট্যাংক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র, চীনের তৈরি হাজার হাজার ‘টাইপ–৫৬’ রাইফেল, শতাধিক পিকেএম মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল এবং রকেট-চালিত গ্রেনেড লাঞ্চার রয়েছে।”
এসব অস্ত্র এখন যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছে। অস্ত্রের এই চালান কোথা থেকে এসেছে এবং কোথায় যাচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
যে নৌযান থেকে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়েছে, সেটিতে কোনও দেশের পতাকা ছিল না। বিবৃতিতে বলা হয়, বেআইনি চালানের কার্গোগুলো নামানোর পর আটক নৌযানটির নাবিকদের জেরা করা হয়। এরপর তাদেরকে খাবার ও পানি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে বহুপক্ষীয় লড়াই চলছে। দেশটিতে সৌদি আরবের নিয়ন্ত্রিত সেনা জোটের সঙ্গে ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের এ লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেন ওই অঞ্চলে অস্ত্র চোরাচালানের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে চীন। আটককৃত এসব অস্ত্র ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের হাতেই পৌঁছানোর কথা ছিলো।