মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা চক্রের দুই সদস্য শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান (৩১) ও তার সহযোগী মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের (৩৯) ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করে ভাটারা থানা পুলিশ। এ সময় ৪ মামলায় তাদের ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে তাদের ১৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকা, অস্ত্র, মাদক ও অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করে । পরে আলাদা চারটি মামলা করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব জানায়, মিশু ও তার সহযোগী জিসান একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। পার্টিতে সব উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়।
জানা গেছে, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে মিশু-জিসানের বিরুদ্ধে। মিশু একসময় রাজধানীতে পেশাদার ছিনতাইকারী হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিলেন। একটি গরুর ফার্মের আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্রের কারবার করে আসছিলেন।
এদিকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের সঙ্গে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ। এই দুই মডেলকে ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ অপরাধের বিষয়টিও তদন্ত করছেন তারা। বিশ্লেষণ করা হচ্ছে পিয়াসা ও মৌয়ের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত।
বারিধারার ৯ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির ৫ম তলার অভিজাত ভবনটির ২য় তলার ফ্ল্যাটের ভাড়া প্রতি মাসে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এম আর গ্রুপের পরিচালক পরিচয়ে ২ বছরের চুক্তিতে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। অগ্রিম পরিশোধ করেছিলেন আরও কয়েক লাখ টাকা।
রোববার (১ আগস্ট) রাতে ফ্ল্যাটটিতে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াবা, বিদেশি মদ, সিসা তৈরির কাঁচামাল জব্দ করে। ভবন মালিকের অভিযোগ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পিয়াসা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন।
পিয়াসার দেওয়া তথ্য থেকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার আরেক মডেল মৌ আক্তারের রয়েছে মোহাম্মদপুরে ৫ তলা আলিশান বাড়ি। নেক্সাস, পাজেরো ও টয়োটা ব্র্যান্ডের ৩টি দামি গাড়ি চালাতেন মৌ।