ঢাকা   শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১   বিকাল ৪:৩৭ 

সর্বশেষ সংবাদ

জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে সাব-রেজিষ্ট্রারদের প্রতি আইনমন্ত্রীর নির্দেশ

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জনগণকে কোনরূপ হয়রানি না করে দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে রেজিস্ট্রারদের নির্দেশ দিয়েছেন। জাল-জালিয়াতি রোধে সাব-রেজিস্ট্রারদের সর্বদা সচেষ্ট থাকারও পরামর্শ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রারদের জন্য আয়োজিত দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে সকল মানুষ ভোগান্তিহীনভাবে দ্রুত নাগরিক সেবা পাবেন। সমাজ, অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, যোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার আন্তর্জাতিকমানের প্রযুক্তি নির্ভর, আধুনিক, কর্মদক্ষ ও মেধাসম্পন্ন জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্ম থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে নাগরিকগণ আজ প্রযুক্তির সহায়তায় সেবাগ্রহণে তৎপর হয়ে উঠেছেন। নতুন প্রজন্ম সহজাত প্রবণতায় শুরু থেকেই সময়োপযোগী টেকনোলজির সাথে পরিচিত হয়ে বেড়ে উঠছে। সেবার ধরণ বদলে যাওয়ায় অপেক্ষাকৃত বয়োবৃদ্ধ নাগরিকগণও অনলাইন সেবা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দেশের এই অগ্রযাত্রায় রেজিস্ট্রেশন বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। এ বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকেও যুগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সেবাপ্রার্থী জনগণকে দ্রুত প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের চিন্তা-চেতনা ও মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আনিসুল হক বলেন, জনগণকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার নিবন্ধন অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করে সমস্ত ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজড্ করতে চায়। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই আমরা ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশন পাইলটিং প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার আলোকে সারাদেশের সকল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সারাদেশে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হলে কোন রকম জটিলতা ছাড়াই নির্ভুলতার সাথে হয়রানীমুক্ত পরিবেশে দলিলের দাতা এবং গ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। ফলে সরকারি রাজস্ব আদায়েও গতিশীলতা বাড়বে। এছাড়া সারা দেশের রেকর্ড রুমে রক্ষিত বালাম বহিসমূহ ই-আর্কাইভে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে। অনলাইন ব্যবস্থায় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু হলে জনগণ সহজেই নিবন্ধিত দলিলের অনুলিপি তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং জাল-জালিয়াতির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তৃতা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত