ঢাকা   শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১   বিকাল ৫:১৮ 

সর্বশেষ সংবাদ

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না,জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়

ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় পাশাপাশি কোম্পানিটির ব্যবসা পদ্ধতিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের কাছে এ চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।১ আগস্টের মধ্যে ইভ্যালিকে নোটিশের জবাব ও ব্যবসা পদ্ধতি জানানোর সময় দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর সঙ্গে ছয়টি বিষয় আবশ্যিকভাবে জানাতে হবে ইভ্যালিকে—নোটিশে এ কথাও বলা হয়েছে।

ছয় প্রশ্ন
১. প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়েছে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকার কারণ কী? বাকি টাকা ইভ্যালির কাছে আছে কি না। থাকলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, না থাকলে দিতে হবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা।
২. ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ কত, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের বিনিময়ে যে পণ্য দেওয়ার কথা, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা কী এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
৩. ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের নিকট দায়ের পরিমাণ কত এবং তা পরিশোধের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
৪. ব্যবসা শুরুর পর থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি কী টাকা নিয়েছে, মার্চেন্টদের কত অর্থ পরিশোধ করেছে এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য খাতে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ।
৫. ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি এবং বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা।
৬. ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো ব্যবসা পদ্ধতি বা কার্যক্রম ইভ্যালিতে এখনো আছে কি না, থাকলে কী—এসব বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েও যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করছে না। যেসব মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য নেওয়া হয়েছিল, তাদেরও অর্থ পরিশোধ করছে না ইভ্যালি। এসব কার্যকলাপের ফলে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সে অনুযায়ী গ্রাহকের কাছে ২১৪ কোটি এবং মার্চেন্টের কাছে ১৯০ কোটি টাকার দায় রয়েছে ইভ্যালির। এ দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা মাত্র চলতি মূলধন। নোটিশে এ তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইভ্যালির বিভিন্ন কার্যকলাপের ফলে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কিত এক বৈঠকে ইভ্যালিকে এই নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় রোববার। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় (আরজেএসসি) এবং ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত