ঢাকা   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১   দুপুর ২:৫৯ 

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন হচ্ছে ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা

নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কাগজের ভলিউমে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইনে দলিল রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপির নির্দেশনায় “ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প” শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ।প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তরে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে নিবন্ধন অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহা-পরিদর্শক ও প্রকল্প পরিচালক শহীদুল আলম ঝিনুক এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান লজিকফোরাম লিমিটের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তারিকুল হক (অব.) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও যুগ্ম সচিব এ এইচ এম হাবিবুর রহমানসহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল রেজিস্ট্রির পরিবর্তে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বা ই-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি প্রচলনের উপযোগিতা যাচাইকরণ, ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়ারের প্রকৃতি যাচাইকরণ, ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের সফটওয়ার ব্যবহারের জন্য হার্ডওয়ারের প্রকৃতি যাচাই ও পরিমাণ নির্ধারণ করা, হাতে লেখা এলটি নোটিশ এর পরিবর্তে ই-এলটি নোটিশ জারীর পরীক্ষামূলক সফটওয়ার উন্নয়ন, হাতে লেখা বালাম বইর পরিবর্তে ডিজিটাল বালাম প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ, ডিজিটাল সূচিকরণ বা ই-ইন্ডেক্সিং পরীক্ষামূলক চালুকরণ ও বিদ্যমান ম্যানুয়াল দলিলসমূহ ডিজিটাল করার সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির মালিকানা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি অনলাইনে অটোমেটিক যাচাই হবে এবং বায়োমেট্রিক টীপ গ্রহণ করে দলিল অনলাইনে রেজিস্ট্রি ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে শৃঙ্খলা আসবে ও জাল জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এতে রেজিস্ট্রি সেবা গ্রহণে মানুষের হয়রানী, সময় ও খরচ এবং আদালতে জমি-জমা সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা কমে যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত