ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। সোমবার তিনি আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে হেঁটে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে সড়ক পথে ঢাকায় আসেন।
ঢাকায় পৌঁছে প্রথমেই তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ভারতীয় এই হাইকমিশনার। এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে থাকা মন্তব্য খাতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করার কথা লেখেন তিনি।
এর আগে সকালে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে হেঁটে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। আগামী ৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো আব্দুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করবেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
বাংলাদেশে এসে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ভারতের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হলো বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা শুনব। উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সেটি জানাব।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আরো কিভাবে অংশীদারিত্ব বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আমি কাজ করব। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো দুই দেশের মৈত্রী বন্ধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ, সড়ক ও বাণিজ্য প্রসার গুরুত্ব পাবে।
রীভা গাঙ্গুলী দাসের উত্তরসূরি হিসেবে ঢাকায় নয়া দিল্লি মিশনের দায়িত্বে আসলেন দোরাইস্বামী।
১৯৯২ ব্যাচের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বিক্রম দোরাইস্বামী সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সম্মেলন বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
তার জন্ম ভারতের তামিলনাড়ুতে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিক্রম দোরাইস্বামীর বাবা বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মিত্রবাহিনীর পাশাপাশি থেকে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগে বিক্রম দোরাইস্বামী কিছু সময় সাংবাদিকতাও করেছেন। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পড়েছেন তিনি।