যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হিসেবে রক্ষণশীল প্রার্থী অ্যামি কোনি ব্যারেটকে মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, অতুলনীয় কৃতিত্বসম্পন্ন নারী তিনি।
অ্যামিকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট তাকে ‘সংবিধানের প্রতি নিরপেক্ষ আনুগত্য’ সহকারে একজন ‘অগ্রণী কার্যক্ষম এবং বিচারক’ হিসেবে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। সিনেটরদের সমর্থন প্রয়াত উদারপন্থী বিচারপতি রুথ বাড গিন্সবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। রয়টার্স।
ট্রাম্পের এ মনোনয়নের ঘোর বিরোধিতা করছে ডেমোক্র্যাট দল। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পের চক্ষুশূল সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্যবীমা ওবামাকেয়ারকে নিশ্চিহ্ন করতেই তাকে বিচারপতি মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এ ষড়যন্ত্র ঠেকাতে শনিবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল কোর্টে কোনির বিরুদ্ধে মামলা করেছে তারা। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এবং পরবর্তী কংগ্রেস নির্বাচন না করা পর্যন্ত সিনেটকে এই শূন্যপদ নিয়ে কাজ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান আদালতে কে কাজ করবে সে সম্পর্কে একবারই ভোটারদের আওয়াজ দেয়ার একটি সুযোগ দিয়েছে। সেই মুহূর্তটি এখন এবং তাদের কণ্ঠস্বর শোনা উচিত।
বিচারক অ্যামি কোনি নিশ্চিত হয়ে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের ৯ বিচাপতির মধ্যে রক্ষণশীলদের সংখ্যা হবে ৬। বাকি তিনজন উদারপন্থী বা ডেমোক্রেটিক। এই সংখ্যা আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় যে কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪৮ বছর বয়সী অ্যামি কোনি হবেন বর্তমান রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত তৃতীয় বিচারপতি। এর আগে ২০১৭ সালে নেইল গরসাচ এবং ২০১৮ সালে ব্রেট কাভানফকে মনোনয়ন দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টে ৯ জন বিচারপতিকে আজীবনের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের শাসন বন্দুক থেকে শুরু করে গর্ভপাত এবং প্রচারের অর্থের ক্ষেত্রে সব কিছুকে জননীতির আকার দিতে পারে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্তে হয়ে গিন্সবার্গের মৃত্যুর পর নির্বাচনের বছরে সুপ্রিমকোর্টের মনোনয়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভণ্ডামির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।