ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রবেশের পাঁচটি গেইটে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। রোববার সকাল থেকে প্রবেশ পথগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। আইডি কার্ড দেখিয়ে সবাইকে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। বিচারপ্রার্থী কিংবা অপরিচিতরা নানা প্রশ্নের মুখোমুখিও হচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, মারামারি এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে তাৎক্ষণিক বৈঠক করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বৈঠকে রোববার (২৯ মে ) থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় শনিবারও (২৮ মে) বৈঠক করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ওই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে পুরো সুপ্রিম কোর্টকে সিসিটিভির আওতায় আনা এবং ৫টি প্রবেশ পথের একটি সার্বক্ষণিক বন্ধ, একটি সার্বক্ষণিক খোলা ও বাকিগুলোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত শনিবার আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোববার (২৯ মে) থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূল গেইট সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। মাজার গেইট সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন মসজিদ গেইট সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বার কাউন্সিল সংলগ্ন আউট (বাহির হওয়ার পথ) গেট দিয়ে কেবলমাত্র গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হবে। ওই গেইট দিয়ে কোনো ধরনের গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া ন্যায় সরণি গেইটটি সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকবে। তবে, স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন মসজিদ গেটে নামজের মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য পাশের ছোট প্রবেশ পথ সব সময় খোলা থাকে। সেটি অব্যাহত থাকবে।