নোয়াখালীতে মন্দির-মণ্ডপে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনিতা গুহ শনিবার রাতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরা হলেন- রিপন আহাম্মেদ মাহীর, আরাফাত হোসেন রাজিব ও ইব্রাহিম খলিল রাজিব।
এর আগে বৃহস্পতিবার আবদুর রহিম নামের আরেক আসামি আদালতে জবানবন্দি দেয়।
চৌমুহনীতে মণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বুধবার রাতে উপজেলার করিমপুর এলাকা থেকে আবদুর রহিম ওরফে সুজনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাড়ি করিমপুর এলাকায়।
পুলিশ সুপার বলেন, ওই হামলা ও ভাঙচুরের ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও তিনজনকে শনাক্ত করে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা।
গত ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি পূজামণ্ডপ এবং হিন্দুদের বাড়িঘরে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা-ভাংচুরের সময় একজনের মৃত্যুর পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দায়ের করা ১০ মামলায় ১১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে ৬৩ জন এজাহারভুক্ত এবং ৫৯ জন সন্দেহভাজন আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।