ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১   বিকাল ৫:৪৮ 

সর্বশেষ সংবাদ

৪০ বছরেও কিনারা হয়নি জেনারেল মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের, মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যাচ্ছেন এরশাদ

মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তি পেতে যাচ্ছেন জেনারেল এইচ এম এরশাদ। একই কারণে দায়মুক্তি দেওয়া হতে পারে আরেক আসামী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফকে।
তাদের অব্যাহতি দিয়ে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডি। মৃত্যু হওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
মঞ্জুর হত্যা মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিলো। গত ১২ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এই সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিন আদালত নির্ধারণ করবেন মৃত্যুজনিত কারণে মঞ্জুর হত্যার প্রধান আসামী জেনারেল এরশাদকে অব্যাহতি বা দায়মুক্তি দেওয়া হবে কী না।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালতের এ সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন।
জেনারেল এরশাদ ও জেনারেল আব্দুল লতিফকে অব্যাহতি দিয়ে মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি।
আইনবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারি আইন অনুযায়ী বিচার চলাকালে কোনো আসামী মারা গেলে তাকে মামলা ও বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, এটাই নিয়ম। কারণ মরণোত্তর বিচারের কোনো নজির বিচারব্যবস্থায় নেই। ফলে ধরে নেওয়া যায়, জেনারেল মঞ্জুর হত্যার দায় থেকে এরশাদ অব্যাহতি পাবেন তাঁর মৃত্যুর কারণে। রাজনৈতিক নানা অংকে জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলাটি এরশাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মরে গিয়ে এরশাদ সেই কাঁটামুক্ত হলেন।
এরশাদের নির্দেশেই মঞ্জুরকে হত্যা, নেপথ্যে নানা কাহিনী ঃ
৪০ বছর আগে ১৯৮১ সালের ৩০ মে দেশের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার একদিন পরই ১ জুন হত্যা করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর বীর উত্তমকে। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলো বিএনপি আর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। ওই বছরের ২৭ জুন জেনারেল এরশাদসহ ( এরশাদ তখন ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান) পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

সিআইডির দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৮১ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল এম এ মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়।
বিমানবাহিনীর তৎকালীন প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সদরউদ্দিন এ মামলায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, এরশাদের নির্দেশে মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ মামলায় পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দায়িত্বশীল ও সংশ্লিষ্ট ২৮ জন কর্মকর্তা ও সদস্যকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বেশির ভাগ সাক্ষীর জবানবন্দিতে এসেছে, এরশাদের নির্দেশেই মঞ্জুরকে হাটহাজারী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তাঁকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে ১৯৮১ সালের ১ জুন মধ্যরাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়।
মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, মঞ্জুর হত্যার দুই দিন আগে, ৩০ মে (১৯৮১) ভোররাতে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও সেনাশাসক জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং) ছিলেন এম এ মঞ্জুর। তিনি ১ জুন স্ত্রী-সন্তান এবং অনুগত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে নিয়ে সেনানিবাস থেকে পালিয়ে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর মো. রেজাউল করিম। মঞ্জুরের সঙ্গে তিনিও আটক হয়েছিলেন। মেজর রেজার জবানবন্দি অনুযায়ী, সেনানিবাস থেকে বেরিয়ে তাঁরা ফটিকছড়ির রাস্তার দিকে রওনা হন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে এক চা-বাগানের ভেতরে একটি বাড়িতে ওঠেন। পরে ওই বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করলে মঞ্জুর ও মেজর রেজা আত্মসমর্পণ করেন। পরিবারের সদস্যদেরসহ তাঁদের হাটহাজারী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামি মেজর (তৎকালীন ক্যাপ্টেন) কাজী এমদাদুল হক, সাক্ষী মেজর রেজা ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জবানবন্দি ও সাক্ষ্য অনুযায়ী ১ জুন সন্ধ্যার পরে মঞ্জুরকে হাটহাজারী থানায় নেওয়া হয়। পরে ব্রিগেডিয়ার আবদুল লতিফ (পরবর্তী সময়ে মেজর জেনারেল ও ডিজিএফআইয়ের প্রধান হন) ও ব্রিগেডিয়ার এ কে এম আজিজুল ইসলামের নির্দেশে ক্যাপ্টেন এমদাদ রাত সাড়ে আটটার দিকে হাটহাজারী থানায় যান। তিনি মঞ্জুর, তাঁর স্ত্রী-সন্তান ও মেজর রেজাকে পৃথক গাড়িতে তুলে সেনানিবাসে নিয়ে যান। জেনারেল মঞ্জুরকে হাত ও চোখ বেঁধে মেজর এমদাদের গাড়িতে তোলা হয়।
ওই গাড়িতে থাকা সুবেদার আশরাফ উদ্দীনসহ আরও কয়েকজন সেনাসদস্য জবানবন্দিতে বলেন, মঞ্জুরকে নিয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁরা সেনানিবাসে প্রবেশ করেন। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মঞ্জুরের লাশের ময়নাতদন্ত করেন চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসক কর্নেল এ জেড তোফায়েল আহমদ। সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তে মঞ্জুরের মাথার ডান দিকে পেছনে একটি বুলেটের আঘাত দেখতে পান। তাঁর শরীরে আর কোনো জখমের চিহ্ন ছিল না।
এ মামলার সাক্ষী চট্টগ্রাম পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আলী মোহাম্মদ ইকবাল জবানবন্দিতে বলেছেন, হাটহাজারী থানা থেকে সেনাসদস্যরা মঞ্জুরকে নিতে গেলে তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডেন্ট ব্রিগেডিয়ার আজিজকে টেলিফোন করেন। তখন আজিজ জানান, সেনাপ্রধানের (এরশাদ) নির্দেশক্রমে মঞ্জুরসহ আটক করা ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য তিনি ও ব্রিগেডিয়ার লতিফ ক্যাপ্টেন এমদাদকে পাঠিয়েছেন।
পরে আসামি এমদাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ব্রিগেডিয়ার লতিফ ও আজিজের নির্দেশে তিনি মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে আসেন এবং পরে হত্যা করা হয়।
মঞ্জুরকে হত্যার পর প্রচার করা হয় যে সেনানিবাসে নেওয়ার পর একদল উচ্ছৃঙ্খল সেনাসদস্য তাঁকে হত্যা করেছে। কিন্তু এ মামলায় যেসব সেনাসদস্য জবানবন্দি দিয়েছেন, তাঁদের কেউ উচ্ছৃঙ্খল সেনাসদস্যের কথা বলেননি।
বিমানবাহিনীর তৎকালীন প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সদরউদ্দিন পরবর্তী সময়ে এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে মঞ্জুরকে হত্যার জন্য সরাসরি এরশাদকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ১ জুন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি বঙ্গভবনে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের অফিসে ছিলেন। তখন সেখানে জেনারেল এরশাদও ছিলেন। এ সময় টেলিফোন আসে। রাষ্ট্রপতি টেলিফোন রেখে জানান যে মেজর জেনারেল মঞ্জুর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। এ খবর শুনে জেনারেল এরশাদ চেয়ার থেকে উঠে রাষ্ট্রপতির লাল টেলিফোন দিয়ে কাউকে ফোন করে বলেন, ‘মঞ্জুরকে পুলিশ আটক করেছে। তাকে শিগগির নিয়ে আসো এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করো।’ তখন সদরউদ্দিন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এরশাদ বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘এয়ার চিফ, আপনি কিছুই বোঝেন না।’
সদরউদ্দিন বলেন, তিনি ও তৎকালীন আইজিপি এ বি এম জি কিবরিয়া অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে বলেন, যেন মঞ্জুরকে বেসামরিক হেফাজতে রাখা হয় এবং বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে এরশাদের দীর্ঘ বাদানুবাদ হয়। পরে এরশাদের পরামর্শে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার জেনারেল মঞ্জুরকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত দেন।
সদরউদ্দিন আরও বলেন, ২ জুন রাত দেড়টা থেকে দুইটায় তিনি মঞ্জুরকে হত্যার খবর পান। পরদিন সকালে তিনি এরশাদকে টেলিফোন করে বলেন, ‘এরশাদ সাহেব, আপনারা জেনারেল মঞ্জুরকে মেরে ফেললেন? এইটা কিন্তু ভালো করলেন না।’ জবাবে এরশাদ বলেছেন, ‘বিক্ষুব্ধ সৈনিকেরা তাঁকে হত্যা করেছে।’
এ ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৭ জুন এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ, মেজর কাজী এমদাদুল হক, লে. কর্নেল শামসুর রহমান শামস ও লে. কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন। ব্রিগেডিয়ার আজিজ ও নায়েক সুবেদার আবদুল মালেক মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাঁদের আসামি করা হয়নি।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু এরই আগে ২৯ জানুয়ারি বিচারক পদে রদবদল করা হয়। ফলে নির্ধারিত দিনে রায় ঘোষণা হয় নি।
নতুন বিচারক দায়িত্ব গ্রহণ করলে সরকার পক্ষের আইনজীবী মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান। এতে বলা হয় মঞ্জুরকে আটক ও হত্যা করার সময় তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। কিন্তু তাদের সাক্ষী করা হয়নি। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তাদের সাক্ষী করার জন্য আদালতের কাছে অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এই অধিকতর তদন্ত চলতে থাকে। এরশাদের জীবদ্দশায় তদন্ত আর শেষ হয় না। মঞ্জুর হত্যা মামলাটি অনেকটা রাজনৈতিক মামলার রূপ নেয় এবং এরশাদের সঙ্গে চলতে থাকে চোর পুলিশ খেলা।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মারা যান এইচ এম এরশাদ। পরবর্তী শুনানি ২ অক্টোবর এরশাদের মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য আদালতকে অবহিত করেন এরশাদের আইনজীবী আবদুর রশিদ। তিনি আদালতে দরখাস্ত দিয়ে জানান, এরশাদ গত ১৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁকে রংপুরে দাফন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না। এর আগে মারা যান অপর আসামী জেনারেল লতিফ। সরকার পক্ষ থেকে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়।
শেষ পর্যন্ত এরশাদের মৃত্যুর দেড়বছর পর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে এরশাদকে মৃত্যুজনিত কারণে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানালো তদন্তকারি সংস্থা সিআইডি।
৪০ বছর আগে এরশাদের নির্দেশেই যে জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয় মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে তা স্পষ্ট। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হলেও বছর কয়েক যেতেই এরশাদ ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিণত হন। ফলে আরও অনেক মামলার মতো মঞ্জুর হত্যা মামলাটিও এরশাদের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে এমনটিই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মামলাটির তদন্ত এবং বিচারকাজ চলার সময় কয়েকবার সরকার বদল হয়েছে, বিএনপি,আওয়ামী লীগ কয়েক দফায় ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু এ মামলাটির বিচার বিচারিক আদালতেই শেষ হয় নি। সব সরকারের সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দফায় দফায় সময় নেওয়া হয় আর বছরের পর বছর ঝুলে থাকে মামলার বিচার।
এখন মূল অভিযুক্ত জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর পর সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয়েছে, এরশাদকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে ।
চূড়ান্ত আদেশ দেবে আদালত ২৫ জানুয়ারী। যদি অব্যাহতি দেওয়া হয় তা হলে বলাই যাবে সৌভাগ্যবান, সামরিক শাসক এরশাদ, যার হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল মঞ্জুর হত্যার রক্ত, জীবদ্দশায় তাঁর বিচারই করতে পারলো না রাষ্ট্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত