চীন এবং ভারতের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা কেবল বাড়ছেই। উত্তেজনাকর এ পরিস্থিতিতে উভয় দেশই বাংলাদেশকে নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে। চেষ্টা চলছে বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের। গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে এটি বিরল। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এটিকে বাংলাদেশ নিয়ে ভূ-রাজনৈতিক যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। উভয় দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। আর এতে বাণিজ্যকেই তাদের হাতিয়ার করতে চাইছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত চীনের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন, অম্লান দেওয়ান।
ভারত ও চীন-উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক ও সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক। তবে ভৌগলিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও ধর্মীয় কারনে ভারতের সঙ্গে সর্ম্পক নিবিড় বলে মনে করা হয়।
এ নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে চলছে তোলপাড়। চায়ের কাপে উঠছে ঝড়। কোন পথে হাটবে বাংলাদেশ? কাকে রেখে কাকে খুশি করবে বাংলাদেশ? প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের কাকে বেশি দরকার? দৃশ্যত এ ইস্যুতে তিন দলে বিভক্ত দেশের সুশীল সমাজ ও বোদ্ধারা। কুটনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি আর রাজনীতি ব্যাখ্যা করে তিনদলই নিজ নিজ মতামত তুলে ধরছেন।
একদল বলছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের তিনদিকেই ভারত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অনেক। ১৯৭১ সালের রক্তাক্ষয়ী মুক্তির লড়াইয়ে ভারত যদি বাংলাদেশের পাশে না থাকতো এ দেশ স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ। তাই ভারতের পাশে থাকাই হবে বাংলাদেশের জন্য আদর্শিক কাজ।
আরেকদল বলছে, নিজ স্বার্থেই ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সাথে যে যুদ্ধ হয়েছিল ভারতের তার প্রতিশোধ নিয়েছে। আর চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের অনিবার্য অংশীদার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি। চীনাদের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। সুতরাং চীনকে বাদ দিয়ে ভারতের পাক্ষ নেওয়া হবে বোকামি।
তবে তৃতীয় আরেকটি দল রয়েছে। তারা বলছে, ভারত বাংলাদেশ দুই দেশকেই আমাদের দরকার। অতএব দুপক্ষকে সাথে নিয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে দুপক্ষের মধ্যে যদি সত্যি সত্যি যুদ্ধ লেগে যায় তখন কোন এক পক্ষে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের উপর চাপ আসতে পারে। আর সে পরিস্থিতিতে কী করবে বাংলাদেশ? কী করা উচিত?
বাংলাদেশের সঙ্গে চীন-ভারতের রাজনৈতিক সর্ম্পকটি কেমন? কার সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশ?
ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, চল্লিশ দশকের শেষে চীনা বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক এক ভিন্ন মোড় নেয়। এ সম্পর্ক রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে বন্দি ছিল না। এ ছিল দু’দেশের কিছু মানুষের আদর্শিক সম্পর্ক। হ্যাঁ, বাংলাদেশে সে সময় যে বামপন্থী আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে ওঠে তার শেকড় ছিল চীনে। ৫০ ও ৬০ এর দশকে চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই একাধিকবার বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেন। চীনা কমিউনিষ্ট পার্টি সে সময় থেকেই বাংলার জাতীয়তাবাদী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতো। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী প্রমুখ। এ সম্পর্কে ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে। চীন পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থন করে। এর পেছনে জটিল ভূ-রাজনৈতিক কারণ ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থ দিয়েছিল। আর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে চীনের ছিল মতাদর্শগত ও আরো নানা বিষয়ে বিরোধ। আর ১৯৬২ সালেতো চীন সরাসরি মরণঘাতি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতের সঙ্গে। এসব কারনে চীন পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। অবশেষে বাংলাদেশ যুদ্ধে বিজয়ী হলেও চীন ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তিতেও ভেটো দেয় চীন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৬ সালে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সর্ম্পক স্থাপিত হয়। এরপর বাংলাদেশের অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকে চীন। তবে তার সবই আসতে থাকে পাকিস্তান হয়ে। অর্থাৎ এসব অস্ত্রের মূল উৎপাদনকারী চীন হলেও পাকিস্তানই এসব ট্রেডিং করতো বাংলাদেশে। মাঝখানে পাকিস্তানী সেনাকর্মকর্তারা মোটা কমিশন পেয়ে লাভবান হতো। বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাতে চীনারা তৎপর ছিল বলেও অনেকে মনে করেন।
অন্যদিকে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও জনগণ যে সমর্থন ও সহযোগিতা বাংলাদেশ ও বাঙালিদের দিয়েছিল তা দুদেশের সম্পর্কে নতুন ভিত্তি রচনা করেছিল। ভারত মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের স্বকীয়তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জানিয়েছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুর্নগঠনে তাই ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশও জানিয়েছিল তার কৃতজ্ঞতা ও সম্মান। ভারত বুঝতে পেরেছিল ভূ-রাজনৈতিক নানা দিক বিবেচনায় বাংলাদেশকে তার লাগবে। আর একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ ভারতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বাংলাদেশ ভারতের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন না হলে বিপদ। তবে ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহনের কারণে বাংলাদেশের উপর অসন্তুষ্ট হয় ভারত। তার প্রভাব পড়ে দুদেশের সম্পর্কেও। তৈরি হয় দূরত্ব। দু’দেশের স্থলসীমানা নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা তারই একটি উদাহরণ। তবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। জেনারেল এরশাদ অবশ্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুন:প্রতিষ্ঠায় তৎপর হন।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। আসে আমূল পরিববর্তন। গত এক দশকেরও বেশি সময় জুড়ে দু’দেশের মধ্যে স্বাাক্ষরিত হয়েছে নানা চুক্তি। এ সময়ে ভারতে সরকার পরিবর্তিত হলেও বাংলাদেশের ব্যাপারে নীতিগত কোন পরিবর্তন আসেনি। ছিটমহল বিনিময়, ভারতকে সড়ক পথে ট্রানজিট দেওয়া, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরাক্ষা চুক্তি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে সহায়তা দু’দেশের সহযোগিতার অন্যতম দৃষ্টান্ত। এ সময় বাংলাদেশীদের ভারত যাওয়া যেমন বেড়েছে, ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসাও তেমনি বেড়েছে। আসা যাওয়া বাড়লেও বাংলাদেশের মানুষের একটি বিরাট অংশের মধ্যে বেড়েছে ভারত বিরোধিতা। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান এ বিরোধিতাকে আরও চাঙ্গা করেছে। তার মানে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে দারুন। কিন্তু দুই দেশের জনগনের সম্পর্ক সে মাত্রায় গভীর হয়নি।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের সাহায্যে বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাব পাওয়ার সাথে সাথেই চীন সেটি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানের ত্রিমুখী চাপে সে প্রস্তাব থেকে সরে এসেছিল বাংলাদেশ। পরে জাপানের সাহায্য নিয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পথে এগোয় বাংলাদেশ।
আর চীনের সাথে অন্যান্য সহযোগিতা প্রকল্প চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। গত এক দশকে চীন থেকে অনেক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। আমাদের সেনা কর্মকর্তারা চীন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকলেও প্রতিরক্ষা বিষয়ক সর্ম্পক খুবই সামান্য। ভারত থেকে কোন সমরাস্ত্র কেনারও খবর নেই।
চীন বাংলাদেশে রপ্তানি করে প্রায় ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য অথচ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারেরও কম। বাংলাদেশকে সাহায্য দেয় ১ বিলিয়ন ডলারের মতো। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা বা আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশে রপ্তানি করে প্রায় প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য অথচ বাংলাদেশ থেকে অামদানি করে ২৬০মিলিয়ন ডলারেরও কম। আর দু’দেশের মধ্যে যে ইনফরমাল ট্রেড হয় তা পুরোটাই ভারতের অনুকূলে। ধারনা করা হয় এর পরিমান ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো। বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়দের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমান ৪ বিলিয়ন ডলার। ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য দেয় ১৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো। তবে বর্তমান সরকারের অামলে ভারত বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ বিনাশুল্কে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। যদিও শুল্ক বর্হিভূত অন্যান্য নানা বিধিনিষেধ আরোপের কারণে বাংলাদেশ এ সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না।
চীন-ভারত সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর চীনও একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোন মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বিশাল বাজার ও বহুমাত্রিক পণ্যসামগ্রীর কারণে বানিজ্য বিষয়ে চীন ভারতের তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে হয়। তাছাড়া বাংলাদেশী পণ্যের প্রবেশাধিকার যদি চীন উন্মুক্ত করে তাহলে বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুকে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অার সে পথেই এগুচ্ছে চীন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশী সব পণ্যের শুল্কমু্ক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার টোপ দিয়েছে চীন। বাংলাদেশ অবশ্য এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ক্ষেত্রে দু’দেশের মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে অবকাঠামো। দু’দেশই বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে নানা প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। রেল খাতে দুই দেশই বাংলাদেশে কাজ করতে চায়। কাজ করতে চায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়েও। সুন্দরবনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কাজ ভারত পেয়েছে। তবে তা পরিবেশগত কারণে বাধার মুখে পড়েছে। তবে উৎপাদন বা বৃহৎ শিল্প স্থাপনে দুটি দেশের কেউই বড় কোন বিনিয়োগ করেনি। তবে মাঝে মাঝে তাদের এ ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগের কথা শোনা যায়।
আর সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর ভারতের প্রভাব একচ্ছত্র। ব্যাপক। কোনো কোনো বিষয়ে আগ্রাসী। দুই দেশের রয়েছে অভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি। প্রায় লাখখানেক ছাত্র ছাত্রী ভারতে পড়াশুনা করে। ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো এতটাই জনপ্রিয় যে বাংলাদেশের সব পণ্যের প্রচারও সে সব টিভিতেই বেশি হতো। ফলে এদেশের টিভি চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন না পেয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছিল বা রয়েছে। তাদের চাপে পড়ে কিছুদিন আগে তথ্য মন্ত্রণালয় ভারতীয় চ্যানেলে বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার উপর কড়াকড়ি আরোপ করে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে চীনের সাংস্কৃতিক প্রভাব প্রায় নেই বললেই চলে। চীনা ভাষা শেখার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া এদেশে তাদের কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চোখে পড়ে না। চীনা সংস্কৃতি নিয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ চোখে পড়ে না।
উপরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, দুই দেশ বাংলাদেশকে যা দেয়, নেয় তার চাইতে অনেক বেশি। তাই বাংলাদেশের উচিত হবে ভারত-চীনের এ দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে নিজের সুবিধা আদায়। আরও পরিস্কারভাবে বললে ন্যায্য হিস্যা বা প্রাপ্য আদায়। বাংলাদেশের ভেতরে অনেক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে গত এক দশকের বেশি সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে যতটা সুবিধা দিয়েছে বিনিময়ে পেয়েছে অনেক কম। আর এ কারণে ভারত চীনের সম্পর্কের এ টানা পোড়েনের সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ যা যা দুই দেশ থেকে পেতে চায় তার তালিকা তৈরি করে কৌশল ঠিক করে..তথ্য উপাত্ত হাতে নিয়ে দুই দেশের সঙ্গে বসা উচিত। আর দু’দেশের কারও পক্ষ না নিয়ে নিজ সুবিধা আদায় অবশ্যই সম্ভব। এটাই সময়।
অম্লান দেওয়ানঃ সাংবাদিক, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক।
ভালো পর্যালোচনা