প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে বলে সংসদে বক্তৃতা করে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। তার দাবি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে সরকারি দলের লোকজনও জড়িত।
বুধবার সংসদের বৈঠকে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড নিয়ে ঘৃণা জানাতে আনা একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, কী ধরণের ষড়যন্ত্র চলছে, তা তিনি সংসদে বিস্তারিত বলতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারলে তাকে বলতে পারতেন। কোভিডের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারছেনও না বলেও জানান তিনি।
জামালপুর-১ আসনের সরকার দলীয় সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনও যে ষড়যন্ত্র চলছে, এই ষড়যন্ত্রের ভেতরে আমাদের নিজেদের অনেক লোকও অর্থের বিনিময়ে সম্পৃক্ত আছে। ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক সময় সঠিক তথ্য দেয় না। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের মাধ্যমে নিজস্ব ম্যাকানিজমে তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন।
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা যারা কাজকর্ম করছে তাদের দিকে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য যারা আছেন তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের প্রত্যেককে সতর্ক করতে হবে। কারণ বিএনপি-জামাতের কিছু মহিলা ধর্মের কথা বলে, রাজনীতির কথা বলে। সেইদিকে খেয়াল রাখবেন। সবাই যদি সতর্ক থাকি, চোখ-কান খাড়া রাখি, তাহলে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
বিএনপি ও জামাত এখনও চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাহির থেকে বহু অর্থ আসতেছে। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু লোক ঠিক করেছে। আমি মনে করি আমরা যদি এগুলো শক্ত হাতে দমন না করি তাহলে তো হবে না।