জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হয়েছে। নয় কার্যদিবসের এ অধিবেশন শুরু হয় ১৪ নভেম্বর। রোববার অধিবেশন সমাপনী সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে অধিবেশনের সমাপ্তি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে সংসদ কক্ষে দেখানো হয়, ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে জয়ের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ।
কভিড১৯ মহামারীর মধ্যে অনুষ্ঠিত অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ চলে। এক্ষেত্রে কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সংসদ সদস্যরাই অধিবেশনে যোগ দেন। প্রতিদিন ১০০-১২০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে বসে সংসদ। তবে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় কভিড-১৯ নেগেটিভ সব সদস্য অংশ নেন।
এ অধিবেশনে ২৪ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ আলোচনায় স্মারক বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে সংসদে বিশেষ আলোচনার জন্য প্রস্তাব তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদিন আলোচনার পর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সংসদ। এ অধিবেশন চলাকালীন টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা যান। মহামারী কালের অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারো সংসদ ভবনে প্রবেশাধিকার ছিল না গণমাধ্যমকর্মীদের। সংসদ সচিবালয়ের তথ্যমতে, এবারের অধিবেশনে নয়টি বিল পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৪১টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে তিনি ১০টির উত্তর দিয়েছেন। অন্য মন্ত্রীদের এক হাজার ১২টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে মন্ত্রীরা ৫৬৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন।