সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়িতে এখনও স্টিকার থাকায় বর্তমান সংসদের আইনপ্রণেতাদের গাড়ির জন্য নতুন স্টিকারের নকশা করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, “আমরা মনে করি প্রত্যেক সংসদের জন্য স্টিকারের পরিবর্তন হওয়া দরকার। নতুন সংসদের জন্য একটি নতুন ডিজাইনের স্টিকার থাকবে।
“কারণ দেখা যাচ্ছে অনেকে পূর্বের সংসদে সদস্য ছিলেন, এখন তারা এমপি নন। কিন্তু গাড়িতে তাদের স্টিকার থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা নতুন স্টিকার করার কথা বলেছি।”
ডিজাইনটি দেখে এরপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান তিনি।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদ সচিবালয়ের সরবরাহ করা গাড়ির স্টিকার নতুন করে ডিজাইন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
সংসদ সদস্যদের আবাসন, নিরাপত্তা, অফিস বরাদ্দসহ বিভিন্ন বিষয় তদারক করে এই কমিটি।
এর আগে ২০১৫ সালে সংসদ সদস্যদের গাড়িতে ব্যবহারের জন্য স্টিকার পাল্টে ফেলে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য আলাদা স্টিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই সময়।
এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের গাড়ির জন্যও ওই সময় আলাদা স্টিকার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সংসদ অধিবেশনেও আলোচনা হয়।
২০১৯ সালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ফেনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর গাড়িতে ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো থাকা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময় আইনপ্রণেতাদের জন্য তৈরি স্টিকার অন্য গাড়িতে ব্যবহারের ঘটনাও ঘটে।
স্টিকারের অপব্যবহার হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, “এটি অপব্যবহার হয় কিনা, সেটা তো আমরা বলতে পারব না। এটা দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর, তারা বলতে পারবে।”
এদিকে বৈঠকে জাতীয় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন ও এর আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন সেবার কাজের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ করে একটি প্রতিবেদন পরের বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়।
কমিটি জাতীয় সংসদ ভবন ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংসদ সদস্য ভবনের আশেপাশের সাইনবোর্ড ও ব্যানার এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের জন্যও সিটি করপোরেশনকে সুপারিশ করেছে।
এছাড়া বৈঠকে মানিক মিয়া অ্যভিনিউতে যাতে কোনো দোকানপাট বসতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে সংসদ সদস্য ভবন এলাকায় অননুমোদিতভাবে বিভিন্ন কক্ষে ও স্থানে বসবাসরতদের দ্রুত উচ্ছেদের সুপারিশ করে।
প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ব্ঠৈকে কমিটির সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম, হুইপ ইকবালুর রহিম, ফজলে হোসেন বাদশা, কাজী ফিরোজ রশীদ, মাহবুব আরা বেগম গিনি, মনজুর হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মো. হারুনুর রশীদ, সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক সাইফুজ্জামান, সংসদ সদস্য ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক নাহিদ ইজহার খান ও নার্গিস রহমান অংশ নেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।