আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাপ নিয়ে গবেষণায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা তৈরিতে একটি খসড়া আইন সংসদে পাস হয়েছে।
নতুন এই আইনের অধীনে গবেষণাগার হলে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে বিদেশে যেতে তো হবেই না, বরং অন্য কোনো দেশ এখান থেকে রাসায়নিক পরীক্ষা করতে পারবে।
মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়ফেস ওসমান। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ২৩ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
রাসায়নিকের পরিমাপ পরীক্ষা করার জন্য ২০১২ সালের ১০ জুন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অধীনে সর্বোচ্চ জাতীয় রেফারেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস- ডিআরআইসিএম চালু করা হয়।
বাংলাদেশে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞানে গবেষণায় সর্বপ্রথম ও একমাত্র রেফারেন্স ইনস্টিটিউট এটি। ওষুধ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পে রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান বিষয়ক সব গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
দেশেই হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের রাসায়নিক পরীক্ষাগার
নতুন আইনে এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংবিধিবদ্ধ ইনস্টিটিউটে রূপান্তরিত হবে, যার প্রধান হবেন মহাপরিচালক। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব।
এই প্রতিষ্ঠান পরিমাপ ও রেফারেন্স পরিমাণ সেবা দেবে। এছাড়া প্রফিসিয়েন্সি টেস্টিং ও ইন্টার-ল্যাবরেটরি কমপ্যারিজন সেবা দেবে।
নতুন প্রতিষ্ঠান রাসায়নিক পরিমাপবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা এবং সমধর্মী দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, আইনটি প্রবর্তন হলে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য রাসায়নিক পরিমাপ সেবার সুযোগ সৃষ্টি হবে।