একটি হত্যা মামলায় ৭ বছর আগে হাইকোর্ট থেকে খাালাস পেয়েছেন আবুল কাশেম। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছায় মুক্তি মিলছে না কাশেমের । ৭ বছর ধরে কারাগারের কনডেম সেলে আটক আছেন তিনি। এ নিয়ে একটি অনলাইনে খবর প্রকাশ হলে একজন আইনজীবী তা আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। আদালত বিষয়টি আবেদন হিসেবে দাখিল করার কথা বলেন এবং তা দেখা হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদালত আইনজীবীকে বলেন, আপনি আবেদন নিয়ে আসুন আমরা বিষয়টি দেখব। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
বুধবার ৩ আগস্ট ‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!’ এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন আবুল কাশেম। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে।
কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনও। একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে এলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। আবুল কাশেম, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।
আদালত সূত্র জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২১ (৩১.০৩.২০০২) ও দায়রা নম্বর ৩০৮/২০০৪। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন । হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স শুনানি (নম্বর ৫৪/২০০৭) হয় ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি । বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন।