ঢাকা   রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০   ভোর ৫:৫৮ 

সর্বশেষ সংবাদ

মানবাধিকার রিপোর্টের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার (এইচআর) কান্ট্রি রিপোর্টের অনুসন্ধানের বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের পক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে ঢাকা। কেননা বাংলাদেশ সরকার তাদের রিপোর্টে মৌলিক ত্রুটি লক্ষ্য করেছে।
রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এখনও তাদের (এখানে মার্কিন দূতাবাস) সঙ্গে কথা বলিনি, তবে শীঘ্রই কথা হবে।’
আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। মার্কিন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার আগে আমরা বিস্তারিত বিষয় নিয়ে কাজ করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো দেখভাল করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ আশা করে না।’
বাংলাদেশের ওপর ইউএস এইচআর রিপোর্ট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আলম বলেন, রিপোর্টে বেশ কিছু ভুল তথ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে এলজিবিটিকিউ-এর অধিকারের মতো কিছু বিষয়ে বলা হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় অনুশাসনের সাথে প্রাসঙ্গিক নয় । তিনি আরো বলেন, ‘এগুলো বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে, আমরা সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন,তাদের দেয়া ডাটায় ‘মৌলিক কিছু ত্রুটি’ থাকায় তিনি ইউএস এইচআর রিপোর্টের গুণমানের প্রশংসা করতে পারেন না।
আলম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী হত্যার ঘটনায় হত্যা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনও চাইবে ঢাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বা বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রাখা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিবেদনটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা সম্পর্কে বাংলাদেশের বিদ্যমান ব্যবস্থাকে “অবজ্ঞা করেছে। অন্যদিকে, ঢাকা মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতিসংঘ এবং মার্কিন সুপারিশগুলোর সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে কাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেদনটি সমাজ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনাচারের সমাজ তৈরি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের আইনী ব্যবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে নির্বিচারে হত্যার অনুমতি দেয় না।
বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় ১৬ র‌্যাব কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড এবং কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় সম্প্রতি দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতার নজির হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাসস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত