বিজ্ঞান মনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকারীদের সন্ধান চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে পুরস্কার ঘোষণা করেছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকার ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণায় তারা সুবিধা পেতে পারে। বিন লাদেনের ক্ষেত্রেও তারা এভাবে সফল হয়েছিল বলে শুনেছি। এই পলিসি বা স্ট্র্যাটেজি মনে হয় অনেক সময় সাকসেসফুল হয়। অনেক দেশই অনেক সময় এটা ফলো করে। আমরাও তো বঙ্গবন্ধুর তিন খুনিকে খুঁজে পেতে পুরস্কার ঘোষণা করেছি। কেউ যদি তথ্য দিতে পারে, তাদেরকে অবশ্যই সরকার পুরস্কার দেবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জানি অভিজিতের দুই খুনি পলাতক আছে। আমরা তাদের খুঁজছি। এদের বিচার হয়ে গেছে। এরা পালিয়ে আছে। এই ঘোষণায় তাদের পেতে আমাদের সুবিধা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণায় যদি তাদের পাওয়া যায়, আমরা তাদের স্বাগত জানাই।’
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দিক দিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যারা প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বিশেষ করে তাদের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে। তাদের মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে, মিথ্যা ভিডিও বানাচ্ছে। বাংলাদেশে একজন মরলে বলে ১০০ জন বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের ঘটনাকে বলে লাইন অব ডিউটি।
‘বাংলাদেশে একজন মরলে আপনারা যা বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ওরা তা-ই প্রচার করে। আপনারা সংবাদপত্র বড় হরফে ফলাও করেন। ওরা তা নিয়ে অপপ্রচার চালায়। ওদেশে ও কিছু লোক আছে, এদেশেও কিছু লোক আছে।’
আব্দুল মোমেন অভিযোগ করেন, একদল মানুষ দেশের উন্নয়নে সন্তুষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘তারা ভাবেন আওয়ামী লীগ কেন এত ভালো করছে? তারা ভাবে দেশের মানুষ এত ভালো থাকবে কেন? তারা ভাবে সবসময় আমরা পরনির্ভর থাকব। বাংলাদেশ তো এখন মোটামুটি নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখছে। এরা এটা পছন্দ করছে না। তাদের মধ্যে অনেকেই সম্ভবত ওদের দ্বারা পেইড ফর অলসো। তথ্যগুলো তারা সঠিকভাবে দেন না। মিথ্যা তথ্য দেন। অনেকে তা বিশ্বাসও করেন। সেখানে আমাদের কাজ করার সুযোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ পালিয়ে থাকা খুব বড় কিছু নয়। কারণ দেশে এত মানুষ, সেই তুলনায় আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কম। তারা তাদের কাজ করছে, আমরা আমাদের কাজ করছি। সরকারিভাবে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই।’