কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এই দুই আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার এসআই কার্তিক চন্দ্র পাল।
আদালত রোববার জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস’ অফিসে এই সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
উখিয়া থানার এসআই কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুইজনকে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
“এছাড়া শনিবার আরও দু’জনকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে আর্মড পুলিশ। রোববার ওই দুজনকে আদালতে পাঠানো হবে।”
যে দুই আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে মো. সলিম (৩৩) এবং মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ (২৩)।
এদের মধ্যে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ এভং শুক্রবার সলিমকে গ্রেপ্তার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
এদিকে, শনিবার ভোররাতে ১৪ এপিবিএন সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুস সালাম (৩২) ও জিয়াউর রহমান (৩০) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানান এসআই কার্তিক।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে আব্দুস সালামকে লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এবং জিয়াউর রহমানকে কুতুপালং ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।