আবারও রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় পুলিশ। হয়রানী থেকে বাঁচতে পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন এক তরুণী। সহায়তার কথা বলে এই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্টতা এর পর জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ। আর এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার এক এসআইকে। গ্রেফতারের পর এসআই খায়রুল আলমকে(৩২) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার অভিযুক্ত এসআইকে কারাগারে পাঠান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক আগে এক বন্ধুর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে এসআই খায়রুলের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। তার সূত্র ধরে খায়রুল তাকে বিভিন্ন সময় ফোন করে দেখা করতে বলতেন। গত সোমবার সকালে অফিসে যাওয়ার সময় স্কয়ার হাসপাতালের কাছে পান্থপথে খায়রুল ওই তরুণীকে দেখতে পান। বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল তাকে মোটরসাইকেলে করে গুলশানের নিকেতনে এক বাসায় নিয়ে যান। সেই বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে পান্থপথে নামিয়ে দেন।
এ ঘটনার পরে গুলশান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপরে মঙ্গলবার সকালে খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার এসআই খায়রুল আলমকে হাজির করে পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।