ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১   সকাল ১১:৪৫ 

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে বিদেশে ১৮ দিন নারী ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণ করেছেন এসপি মোক্তার হোসেন, আদালতের নির্দেশে মামলা নিলো থানা

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে, ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে নিজের সহকর্মী ইন্সেপেক্টর পদমর্যাদার নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেন। জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে তিনি এই নারী সহকর্মীর সহায়তা চাওয়ার নামে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাকে ফাঁদে ফেলে দেশে ও বিদেশে অন্তত ১৮দিন ধর্ষণ করেন। প্রতিবার ধর্ষণের আগে এসপি মোক্তার বিয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি বিয়ে না করে এই নারী সহকর্মীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে এই নারী ইন্সপেক্টর মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। আদালতে দাখিল করা জবানবন্দিতে এসব উল্লেখ করেছেন এই নারী ইন্সপেক্টর।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতেই এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রেকর্ড করেছে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানা। থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর গাজী জানান, আদালতের নির্দেশের ডকেট হাতে পেয়ে সেটির এফআইআর গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। যথাযথ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মামলা করেন ওই নারী ইন্সপেক্টর। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবেদনটি উত্তরা পূর্ব থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে পিবিআইতে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে তারই সহকর্মী নারী ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে উর্ধতন একজন কর্মকর্তার হাতে অধস্তন নারী কর্মকর্তার ওপরে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তী এবং নারী কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, অপরাধী যেই হোক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আদালতে দাখিল করা আবেদনে ধর্ষণের শিকার নারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে তাকে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিন ধর্ষণ করেছেন এসপি মোক্তার।
আদালতের দাখিল করা আবেদনে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা এসপি’ মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করেন সেগুলো হলো:
দারফুর ক্যাম্পে:
ওই নারী ইন্সপেক্টরের অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি দায়িত্বরত অবস্থায় সুদানের দারফুর ক্যাম্পে ভিন্ন তারিখে ৩ দিন ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। তার বর্ণনা অনুযায়ী- সুদানের নর্থ দারফুরে এসসিসি-৫, সুপার ক্যাম্পে তার বাসায় ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ৩ টায় এবং এর দুই দিনের মাথায় ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১ টায় তাকে ধর্ষণের ঘটনা। এর কিছুদিন পর ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিয়ে করে পরবর্তীতে নিকাহ রেজিস্ট্রি করার প্রলোভন দিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয়।
সুদানের খার্তুম হোটেলে:
অভিযোগ অনুযায়ী- সুদানের খার্তুম হোটেলে টানা ৫ দিন তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন- ২০২০ সালের ২৬ থেকে ৩০ জুন টানা ৫ দিন সুদানের খার্তুম হোটেল শামলোতে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানে:
নারী কর্মকর্তার অভিযোগ অনুযায়ী- উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানে বিভিন্ন তারিখে ৫ দিন ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন-
২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা থেকে পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টা পর্যন্ত হোটেল ডি মেরিডিয়ান লিমিটেডের ২০৬ নম্বর কক্ষে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই বছরেরই ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত একই হোটেলের ৩০৬ নং কক্ষে আবারও ধর্ষণের শিকার হন।
মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে:
অভিযোগ অনুযায়ী মিরপুরের গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেলে নিয়েও তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর মিরপুর-১ এর গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেল লিমিটেডের ৭০৫ নম্বর কক্ষে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
শান্তিনগরের হোটেল হোয়াইট হাউজে:
রাজধানীর শান্তিনগরের হোটেল হোয়াইট হাউজেও ওই নারী কর্মকর্তাকে টানা ৪ দিন ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী- ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শান্তিনগরের হোটেল হোয়াইট হাউজের ২০৯ নম্বর কক্ষে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
কাবিনের দাবিতে গেলে মধুমতি অফিসার্স কোয়ার্টার্সে হুমকি:
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ এপ্রিল আসামীর বাসা এইচ-০৯, রাজারবাগ মধুমতি অফিসার্স কোয়ার্টার্সে বাদিনীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
আদালতে দাখিল করা ওই নারী কর্মকর্তার বিস্তারিত অভিযোগে বলা হয়-
আসামী মোক্তার হোসেন বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার জাতিসংঘের শান্তিমিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট এর কমান্ডার হিসাবে ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে নিযুক্ত হন। বাদিনী সুদানে উক্ত মিশনের পূর্ববর্তী সদস্য হিসাবে কর্মরত থাকা মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় আসামী বিভিন্ন অজুহাতে বাদিনীর সহযোগিতা নেয়ার নাম করে যোগাযোগ করতেন।
বাদিনী সরল বিশ্বাসে নিজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সার্বিক দাপ্তরিক সহযোগিতা প্রদান করতেন। আসামী বাদিনীকে তার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে বললে বাদিনী লজিস্টিক অফিসার হিসেবে আসামীকে একটি বাসার ব্যবস্থা করে দেন।
খাবার খাওয়ার সুযোগ:
একপর্যায়ে আসামী নিজে রান্না করে খেতে পারেন না, তার খাওয়া-দাওয়ার খুবই কষ্ট হয় এবং রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলেন এমন কথা বাদিনীকে জানিয়ে বাদিনীর সাথেই খাবার খাওয়ার সুযোগ দিতে অনুরোধ করেন। বিদেশের মাটিতে নিজের দেশের একজন মানুষ এবং নিজের একজন বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আসামীকে নিজ বাসাতেই খাওয়াতে রাজি হন বাদিনী।
এভাবেই আসামী নিয়মিত বাদিনীর বাসায় খাওয়া দাওয়া করতেন। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামী বাদিনীকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তার নিজ স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের বিষয়ে প্রয়োজনাতিরিক্ত কথোপকথন করতে উদ্যত হন। বাদিনী আসামীকে বারবার বুঝাইতে চাইতেন যে- বাদিনী আসামীর কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা আশা করেন না। এবং বাদিনী আসামীকে বিভিন্ন ইংগিতে এটিও বুঝাতে চান যে- বাদিনীর স্বামী আসামীর বাদিনীর বাসায় আসা-যাওয়া, খাওয়া ও অপ্রয়োজনীয় কথা পছন্দ করেন না। তবুও আসামী বাদিনীর সাথে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা চালাতে থাকতেন।
সেদিন ক্যাম্পে যা ঘটেছিলো:
এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ সেরে আসামী বাদিনীর বাসা হতে বেরিয়ে গেলে বাদিনী বিশ্রাম নিতে থাকেন। এর ১ ঘণ্টা পর আসামী বাদিনীর দরজা নক করিলে ঘুমের ঘোরে বাদিনী দরজা খুললে আসামী বাদিনীর বাসায় প্রবেশ করে সোফায় বসে বাদিনীকে বাদিনীর ব্যবহৃত গাড়ির চাবিটি দিতে বলেন।
ওই সময়ে বাদিনী ইউনিফরমের প্যান্টের পকেট থেকে চাবি বের করতে গেলে আসামী বাদিনীকে পেছন দিক দিয়ে জাপটে ধরেন। এই সময় বাদিনী আত্মরক্ষার্থে ঘরময় ছুটে বেড়ানোর এক পর্যায়ে আলমারির চিপায় আশ্রয় নিলে আসামী বাদিনীকে জোর করে টেনেহিচড়ে বের করে এনে আলমারির পার্শ্ববর্তী টেবিলের উপর শোয়াইয়ে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ক্ষমা চাইতে গিয়ে আবারও ধর্ষণ:
এরপর এই ঘটনা কাউকে না জানাতে বাদিনীকে ভয়ভীতি দেখান ওই এসপি। পরবর্তীতে বাদিনীর সাথে দেখা করে আসামী বাদিনীর কাছে ক্ষমা চাইতে বারবার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বাদিনীর বাসায় গিয়ে আগের ঘটনার জন্য বাদিনীর কাছে ক্ষমা চান। এবং পরক্ষণেই আসামী আগের মতো আচরণ করে ওইদিনই দুপুর ১ টায় বাদিনীর বাসায় বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার পর বাদিনী আসামীকে আর বাদিনীর বাসায় ঢুকতে দিতেন না। কিন্তু আসামী সবসময় বাদিনীর বাসার দরজা উচ্চশব্দে ধাক্কাধাক্কি করতেন এবং টেলিফোন করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাদিনীর সাথে দেখা করতে চাইতেন।
দরজা ধাক্কাধাক্কির বিষয়টি টের পেয়েছিলেন অন্যরা:
বাদিনীকে জরুরি কথা বলার নাম করে ফোনে জোর করে বাদিনীর বাসায় আসামী প্রবেশ করতে চাইলে বাদিনী আসামীকে বাদিনীর বাসায় প্রবেশ করতে দিতে চাইতেন না। বাদিনী আসামীকে বারবার বলেন “…আপনি আমার দরজা ধাক্কাচ্ছেন কেন? আমি আপনাকে আমার বাসায় ঢুকতে দিব না। আপনি আমার বাসায় ঢুকে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করেছেন।. .আমি আপনাকে নিষেধ করার পরও আপনি আমার বাসায় জোর করে ঢুকতে চাচ্ছেন কেন? দয়া করে আপনি চলে যান।” ওই সময়ে দরজা ধাক্কাধাক্কির কারণ জানতে পাশের অন্যান্য বসবাসকারীরা বাদিনীকে জিজ্ঞাসা করতে বাদিনী মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছুই জানাতে পারেননি।
ডিপার্টমেন্টাল হয়রানীর ভয়ভীতি:
আসামী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, বাদিনীকে অসহায় ও ভীতসন্ত্রস্ত করে এবং ডিপার্টমেন্টাল হয়রানীর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাদিনীর বাসায় প্রবেশ করে বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি আসামী বাদিনীকে ফুসলিয়ে, ভুল বুঝিয়ে, প্রতারণা করার উদ্দেশ্য মুখে কালেমা পড়ে বাদিনীকে মৌখিকভাবে বিয়ের প্রতারণা করেন এবং বাদিনীকে আশ্বস্ত করেন- বাংলাদেশে ফিরে এই মৌখিক বিয়েকে রেজিস্ট্রি কাবিন করে গ্রহণ করবেন বলে আবারও বাদিনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
একসঙ্গে দেশে ফিরে উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানে:
পরবর্তীতে বাদিনীকে সঙ্গে করে ছুটি নিয়ে দেশে এনে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ১১ টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ানের ২০৬ নম্বর কক্ষে বাদিনীকে আসামী বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ছুটি শেষে সুদানে গিয়ে ওই বছরেরই ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সেদেশের খার্তূম হোটেল শামলোতে বাদিনীকে আসামী বিবাহের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন।
আবারও ছুটিতে ওই নারী ইন্সপেক্টরকে সঙ্গে করে দেশে ফেরেন এসপি। তিনি আগের মতোই ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তরার হোটেল ডি মেরিডিয়ান লিমিটেডের ৩০৬ নম্বর কক্ষে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন।
আসামীর দেয়া পূর্ব আশ্বাসের ভিত্তিতে বাদিনী আসামীকে মৌখিক নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিলে আসামী বাদিনীর সাথে অশোভন আচরণ শুরু করে এবং এক পর্যায়ে কৌশলে বাদিনীকে এড়িয়ে যেতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বাদিনী চলতি বছরের ১২ এপ্রিল আসামীর রাজারবাগের মধুমতি এইচ-০৯ বাসায় উপস্থিত হয়। তিনি ওই এসপির দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিন সম্পন্ন করতে পুনরায় তাগিদ দেন। এক পর্যায়ে আসামী কাবিন সম্পন্ন করতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং আসামী, আসামীর স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদিনীকে মারধর করেন এবং আসামী বাদিনীকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এমন পরিস্থিতিতে বাদিনী অসহায় হয়ে পড়ে এবং বুঝতে পারে যে- আসামী বাদিনীর সরলতার সুযোগ নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্রথমে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে বাদিনীর সাথে প্রতারণা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদিনীকে ধর্ষণ করেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, এই বিষয়ে বাদিনী গত ১০ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত