চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নাহিদা আক্তার রেনু নামে এক নারী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোরী গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি মাথার চুল কেটে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
ভিকটিম কিশোরীর পুরো শরীরেই নিযাতনের চিহ্ন রয়েছে। চোখ মুখ থেকে শুরু করে গলা, হাত-পিঠ শরীরের কোনও অংশেই বাদ যায়নি নির্যাতন থেকে। কোনও কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে পেটানো হতো তাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, কাজল দেওয়ায় চোখে মেরেছে আর গলায়ও আঘাত করেছে। গলায় দাগও রয়েছে।
নাহিদা আকতার রেনু নামের ওই নারী চিকিৎসকের শিশু সন্তান গৃহপরিচারিকা কিশোরীর মাথায় হাত লাগিয়ে সেই হাত পুনরায় মুখে দেয় বলে জোরপূর্বক তার চুলও কেটে দেওয়া হয়। সবশেষ কাজল দেওয়ার অপরাধে আঘাত করা হয় ওই কিশোরীর চোখে। পরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি নারী চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতনে অসুস্থ কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রাতে গৃহকর্মী তাসলিমার বাবা আব্দুল গণি একটি মামলা দায়ের করেন।