ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা তিনটার দিকে তাঁদের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাকি তিনজন হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা।
আসামিদের গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান।
পরীমণির করা মামলায় মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাতনামা।
চিত্রনায়িকা পরীমনি ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। পুলিশ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরীমণির মামলার ঘটনাটি ঢাকা জেলা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও (ডিবি) ছায়া তদন্ত করছে।
পরীমণি রোববার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, গত ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাঁদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমণির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তাঁর মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।
চিত্রনায়িকা পরীমণির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমণি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনায় মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন পরীমনি। ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
রোববার সন্ধ্যার সময় ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন তিনি।