হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করায় এস আলম গ্রুপ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ছয়টি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও বাঁশখালী থানার ওসি মো. শফিকুল কবীরকে আগামী ৩ জুনের মধ্যে প্রকোশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ৩ জুনের মধ্যে প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নিলে, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও মো. শফিকুল কবীরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।
সংগঠনগুলো হলো–বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি, অ্যাসোসিয়েশন ফরা ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সংগঠনগুলোর এক রিট আবেদনের পর গত ৪ মে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এস আলম গ্রুপকে হাইকোর্ট ওই এলাকার কোনো শ্রমিক অথবা কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে নির্দেশ দেন।
কিন্তু, এস আলম গ্রুপ হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে গত ২৭ মে প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে, যা স্পষ্টত আদালত অবমাননার শামিল।
নোটিশে হাইকোর্টের আদেশ মেনে এস আলম গ্রুপ ও পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন ওই এলাকার কোনো ব্যক্তি ও শ্রমিককে কোনোভাবে হয়রানি না করা হয়।
বেলার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির জানান, ওই এলাকার অবস্থা নিয়ে প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরীর দেওয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে এস আলম গ্রুপের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ গত ২৭ মে বাঁশখালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া এসএস পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি ছুঁড়লে অন্তত সাত জন নিহত ও ১৯ জন আহত হন। তথ্য সূত্র-দ্য ডেইলি স্টার।