হেফজখানায় ৯ বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার। গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ মোজাহিদ (২১)কে বুধবার রাতে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দুর্লভের পাড়ার একটি হেফজখানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোজাহিদ ওই এলাকার বাসিন্দা মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, মোজাহিদ গত রমজান থেকে এক ছাত্রকে বলাৎকার করে আসছিলেন। গত বুধবার সকালে ভুক্তভোগী ছাত্রকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বললে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কান্নার কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে ছাত্রটি বলাৎকারের ঘটনা খুলে বলে তার পরিবারকে।
বিষয়টি ছাত্রের পরিবার প্রথমে স্থানীয় বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জুনাঈদ চৌধুরীকে অবহিত করেন। এরপর চেয়ারম্যান বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করার পর বুধবার রাত ১০টার দিকে ওই হেফজখানার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ছাত্রটিকে জোরপূর্বক বলৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রটির নানা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক আবদুল্লাহ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
শিশুটির নানা জানান, গত রমজান থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার নাতিকে হেফজখানার শিক্ষক আব্দুল্লাহ বলাৎকার করে আসছিলেন। হুজুরের ভয়-ভীতির কারণে এতোদিন সে কাউকে বিষয়টি জানায়নি। বুধবার সকালে মাদ্রাসায় যেতে বললে সে কান্নাকাটি করে। আর মাদ্রাসায় যাবে না বলে জানায়। কারণ জানতে চাইলে সে বলাৎকারের বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।
স্থানীয় বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জুনাইদ চৌধুরী জানান, শিশুটির ওপর মাদ্রাসার শিক্ষক যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা সত্যিই দুঃখজনক। বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাৎক্ষণিক লোহাগাড়া থানার ওসিকে অবহিত করেছি। তিনি ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন।