ঢাকা   শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০   বিকাল ৪:৩৪ 

সর্বশেষ সংবাদ

পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যার আসামি মনিরও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি মনির গ্রেপ্তার হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ২টার দিকে পল্লবীর সাগুফতা হাউজিং এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইফতেখারুল ইসলামের ভাষ্য।
এর আগে শুক্রবার ভোরে রূপনগর এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এ মামলার আরেক আসামি মানিক।
ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে মানিক ও মনিরকে সরাসরি হামলায় অংশ নিতে এবং সাহিনুদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে দেখা যায় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখারুল জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মনিরকে শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে পল্লবীর ২২তলা গার্মেন্টসের পেছনে ঈদগাহ মাঠের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“রাতেই মনিরকে নিয়ে পল্লবীর সাগুফতা হাউজিং এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে গোলাগুলির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়।”
পরে মনিরকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৬ মে বিকালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর সড়কে সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তার ছেলের সামনে। ওই ঘটনায় তার মা আকলিমা বেগম ২০ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
ঢাকার পল্লবীর উত্তর কালশীর সিরামিক এলাকার বাসিন্দা আকলিমার দুই ছেলের মধ্যে সাহিনুদ্দিন ছোট। বাউনিয়া মৌজার উত্তর কালশীর বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকায় ১০ একর জমি রেখে গেছেন আকলিমার প্রয়াত স্বামী। সেই জমি দখল করতেই তার সন্তানকে খুন করা হয়েছে বলে আকলিমার অভিযোগ।
তিনি বলেছেন, ওই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মালিক, লক্ষ্মীপুরের সাবেক এমপি এম এ আউয়াল। তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব।
এ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আউয়ালকে গত বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরবের একটি মাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করছে পুলিশ।
সাহিনুদ্দিন খুন হওয়ার পর আউয়ালসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মামলার দুই আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন। তথ্যসূত্র -বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত