রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন (৩৪) হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের তরিকত ফেডারেশনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার শুনানি শেষে ঢাকা ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। শুনানি শেষে তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে সাহনুদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী মানিক র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভৈরব এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ হত্যা মামলায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৬ মে) রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে বাবা সাহিনুদ্দিকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় পল্লবীর ১২ নম্বর ডি ব্লক ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনি পল্লবীর ১২ নম্বর সিরামিক রোডের বাসিন্দা।
ওইদিন রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে সাহীনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মো. মানিক র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে’ রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে সেখানে যায় র্যাবের একটি দল।
“র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। র্যাবও তখন পাল্টা গুলি চালায়। মিনিট দশেক গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে একজনকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
গুলিবিদ্ধ মানিককে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন । “স্থানীয়রা ওই যুবককে মানিক হিসেবে শনাক্ত করেছেন। যে দুজন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল, সে তাদের একজন। ভিডিওতে দেখা যায়, মানিক পায়ের দিকে কোপাচ্ছিল।“