অনুমতি ছাড়া বিদেশ গিয়ে ফেঁসে গেলেন দুর্নীতি দমন কমিশন,দুদকের এক কর্মকর্তা। শাস্তি হিসেবে তাকে দুদক থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই কর্মকর্তার নাম ইমরুল কায়েস। তিনি প্রশাসন ক্যাডারের সহকারী সচিব। দুদকে ডেপুটেশনে এসছিলেন উপ-পরিচালক হয়ে। তাকে দেয়া হয়েছিল দুদকের গুরুত্বপূর্ণ যাচাই বাছাই কমিটিতে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইমরুল কায়েস গত ২৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১০ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে ব্যক্তিগত সফরে ভারত যাওয়ার অনুমতি নেন। কিন্তু তিনি সে সময় যাননি। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি আদেশ তৈরি করে চলতি মাসে ভারত ভ্রমণ করেন। অনেকটা গোপনে তিনি ভারত ভ্রমন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে টনক নড়ে দুদকের। ঘটনার সত্যতা মেলায় এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করে সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে দুদক থেকে প্রত্যাহার করার জন্য জনপ্রশাসন বিভাগকে জানায় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দুদক থেকে ফেরত নেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করে অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করায় তার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিবিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জনপ্রশাসনে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন বিভাগের উপ-সচিব আবু ফতেহ মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সই করা এক আদেশে তার প্রত্যাহারের বিষয়টি জানা গেছে। আদেশে ইমরুল কায়েসকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছে।