সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার কারণ উদঘাটনে সরকারের উদ্যোগ নিয়ে ১০ বছর আগে জারি করা রুলের ওপর শিগগির শুনানি হবে হাইকোর্টে। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ বিষয়টিকে শুনানির তালিকায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবী মনজিল মোরসেদের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান,’আগামীকাল বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাইকোর্ট ওই রুলের ওপর শুনানি শুরু করতে পারেন।’ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করা এবং হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়াও, এই জোড়া খুনের চলমান তদন্তের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি ছাড়া গণমাধ্যমে কোনো বিবৃতি না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়।
শেরেবাংলা নগর পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পর ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাবকে এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, ওই বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনামুল হক এবং সাগর-রুনির ‘পারিবারিক বন্ধু’ তানভীর রহমান। তানভীর ও পলাশ জামিনে জেল থেকে বের হলেও, বাকিরা এখনো কারাগারে আছেন। সূত্র-দ্য ডেইলি স্টার।