ঢাকা   বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১   সকাল ৮:৪৭ 

সর্বশেষ সংবাদ

আমেরিকায় লবিস্টদের পেছনে বিএনপি ৩.৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে

বিস্ফোরক তথ্য দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। বলেছেন,আমেরিকায় সরকার কোন লবিস্ট নিয়োগ করেনি বা করার কোন পরিকল্পনাও নেই। কিন্তু বিএনপি তাদের বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার অংশ হিসাবে একটি মার্কিন লবিস্ট ফার্মের জন্য কমপক্ষে ৩.৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার লবিং করার জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্যকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য একটি ফার্মের সাথে যুক্ত হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী পার্লামেন্টে দেয়া তার বক্তব্যের পুনরুল্লেখ করে বলেন, এ পর্যন্ত তারা আটটি নথি পেয়েছেন, যাতে দেখা গেছে যে, কিছু বাংলাদেশি নাগরিক কয়েকটি মার্কিন লবিস্ট ফার্ম ভাড়া করেছে।
তিনি বলেন, ‘ওই আটটি চুক্তির মধ্যে অন্তত তিনটিতে বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের ঠিকানা মূল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়েছে।’
আলম বলেন, তারা অন্তত আরও চারটি নথি পেয়েছেন যেগুলোতে বাংলাদেশের স্থানীয় ঠিকানার পরিবর্তে নিউইয়র্কের ঠিকানা ব্যবহার করে জামাতে ইসলামীর পক্ষে স্বাক্ষর করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা মনে করি যে, এই নথিগুলি জামাতের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এসব চুক্তিতে আইসিটি ট্রাইব্যুনাল (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) সহ তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে লবিংয়ের উল্লেখ করা হয়েছিল।”
বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম আকিন কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটস, ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিস এবং রাস্কি পার্টনারসকে নিয়োগ দেয়। অন্যদিকে, জামাত ‘পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ নামে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনি চ্যানেলের অনুমোদন নিয়ে বিএনপি বৈধভাবে মার্কিন সংস্থাগুলোকে টাকা পাঠিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তারা নথিগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে তারা টাকা পাঠালে আমরা আশা করি যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ম অনুযায়ি আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাবে।
নিয়ম অনুযায়ি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিতে হয়।
আলম বলেন, জামাতে ইসলামীর ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার লক্ষ্যে অন্যান্য নথিগুলিই ইসির কাছে যথেষ্ট।
শাহরিয়ার আলম বলেন, পাবলিক ডোমেইনে বিদ্যমান এই আটটি নথি ছাড়াও তারা মনে করেন যে, বিদেশী লবিস্টদের সাথে বিএনপি এবং জামাতের স্বাক্ষরিত এরকম আরও অনেক চুক্তি রয়েছে, যা এখনও জনসাধারণের সামনে আসেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত