জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দুর্গাপূজা ঘিরে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সৃষ্ট সহিংসতা ঠেকাতে’ সরকারের যথেষ্ট সতর্কতার অভাব ছিল বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের টানা ১৩ বছরে এর আগে কোনো দুর্গাপূজায় ‘সহিংস ঘটনা ঘটেনি’ দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের অবাক করে দিয়েছে। আমরা ভাবতেই পারিনি।
“এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কারণ, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলেল জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কিন্তু তৎপর। তারা বুঝে ফেলেছে, শেখ হাসিনার সরকারকে ভোটে হারানো যাবে না; আন্দোলনেও জনগণ সাড়া দেব না।
“কারণ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি। তার সাহসী নেতৃত্ব, অর্জন, উন্নয়নে সারা বিশ্ব তাকে সম্মান করে।
আগামী বছর বেশ কয়েকটি ‘মেগা প্রকল্প’ উদ্বোধন হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “এটা বিএনপির অন্তর্জালার কারণ, এটাই সাম্প্রদায়িক শক্তির গাত্রদাহের কারণ।
“এগুলো উদ্বাধন হলে তারা চোখে অন্ধকার দেখবে। বিএনপি এমন এক দল যে দল পূর্ণিমার ঝলমলে আলোয় আমবশ্যার অন্ধকার দেখে। তারা সরকারের উন্নয়ন দেখে না।”
বিএনপি ও জামাতের মধ্যে ‘ভেতরে ভেতরে মুধুর বন্ধন’ অটুট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
তিনি বলেন, সব সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা এক- বিএনপি। পঁচাত্তরের হত্যকাণ্ড একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ ছিল। একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল তারাই এই হত্যাকাণ্ড করেছিল দেশি-বিদেশি নীলনকশায়।
“সেই শক্তি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর বিষবৃক্ষ ডালপালা বিস্তার লাভ করেছে। এদের ডালপালা আজ অনেকদুর চলে গেছে। এদের শেকড়ও অনেক গভীরে চলে গেছে। মাঝে মনে হয় নিস্ক্রিয়, আসলে এরা সক্রিয়; সুযোগ পেলেই ছোবল রাখে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিষধর সাপ। সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে- তার প্রমাণ এবার দুর্গাপূজা।”
‘স্বপ্ন ও সম্ভবনার স্ফূলিঙ্গ-শেখ রাসেল’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মেধা বৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে বিশেষ অনুদান এবং শিক্ষা উপকরণ প্রদানের এই কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যবেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।বিডি নিউজ।